parbattanews

সম্ভাবনাময় দ্বীপ সোনাদিয়ার হাতছানি

সোনাদিয়ার প্রাকৃতিক ছবি (2)

মহেশখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ বঙ্গপসাগরের তীরবর্তী জেলা কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চলীয় জনপদ মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের সম্ভাবনাময় একটি দ্বীপের নাম সোনাদিয়া। সোনাদিয়া নামটাই বলে দেয় তার রূপের কথা। মোট ৪৯২৮ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত এ দ্বীপ। পূর্ব পশ্চিম লম্বা-লম্বী বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ মালার সাথে অবস্থানরত মিতালি খেলে এক অপার সম্ভাবনাময়ী সম্পদে ভরপুর চরাঞ্চলের এই দ্বীপ। সৃষ্টিকর্তার সুনিপন সৃষ্টি শৈল্পিক আদলে গড়া কক্সবাজার জেলার পর্যটন শিল্পের আরেক সম্ভাবনাময় অপূর্ব দৃষ্টি নন্দন এই সৈকতের নাম সোনাদিয়া দ্বীপ।

সোনাদিয়া ২হাজার ৯৬৫.৩৫একর জমির মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি০৩.১৫ একর। শুটকী মহাল ৪টি, চিংড়ী চাষ যোগ্য জমির পরিমাণ ৯৮.০০ একর। বন বিভাগের জমির পরিমাণ ২হাজার ১০০ একর। অন্যসব প্রাকৃতিক বনায়ন ও চরাঞ্চল।

প্রাকৃতিক অপরূপ সৃজিত জীবন বৈচিত্র সমৃদ্ধ সোনাদিয়া দ্বীপ। যেখানে রয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য ম-িত প্যারাবন, দূষণ ও কোলাহল মুক্ত সৈকত। অসংখ্য লাল কাকড়ার মিলন মেলা। পূর্ব পাড়ায় নব্য জেগে উঠা চর। বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক কাছিমসহ দৃশ্যাবলী, দ্বীপবাসীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও সাদাসিদে জীবন যাপন। পূর্ব পাড়ার হযরত মারহা আউলিয়ার মাজার ও তার আদি ইতিহাস। জেলেদের সাগরের মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য। সূর্যাস্তের মনকারা দৃশ্যের কথা নাই বা বললাম। রয়েছে প্যারাবন বেষ্টিত আকাঁ-বাঁকা নদী পথে নৌকা ভ্রমনের সুযোগ। স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে সাগরের মাঝ পথে বঙ্গোপসাগরের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। যা পর্যটকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বাড়তি আর্কষণ যোগায়।

যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এ দ্বীপে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে যথাযথ উদ্যোগ বা পরিকল্পনার নেয়া হয়নি। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা গেলে পর্যটন রাজধানী হিসাবে পরিচিত কক্সবাজার শহরের অতীব নিকটবর্তী এ দ্বীপটি পর্যটন বিকাশে অন্যতম স্থান হতে পারে। যা দেশের তথা কক্সবাজারের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চয় করবে। পাশাপাশি দ্বীপবাসীর জন্য বিকল্প আয়ের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে।

তবে যে কোন ক্ষেত্রে বিশেষ করে এ ধরনের দ্বীপাঞ্চলে পর্যটনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হলে পরিবেশ ও জীব বৈচিতের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। দ্বীপবাসীর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতির দিকে খেয়াল রেখে যথাযথ নীতিমালা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূণ্য।

Exit mobile version