parbattanews

নাইক্ষংছড়িতে ৮ মাস যাবত সম্মানী পাচ্ছেনা মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কেন্দ্রের ৩৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা দীর্ঘ ৮মাস যাবত সম্মানী ভাতা না পেয়ে মানবতার জীবন যাপন করে আসছেন বলে জানান শিক্ষকেরা।

এনিয়ে গত ৯ আগস্ট শিক্ষকেরা জেলা প্রশাসক বান্দরবান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাইক্ষ্যংছড়ি, উপ পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাইক্ষ্যংছড়ি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

তারপরও কোনো ধরনের সাড়া না পাওয়ায় উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবর ও গণ স্বাক্ষর সম্মিলিত একটা আবেদন করেছেন।

লিখিত আবেদনে জানা যায় ৩৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা যোগ্যতার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।

গত ২০১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্মানী ভাতা পেয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে। এরই মধ্যে কোনো সুপার ভাইজার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনও করেনি।

লিখিত আবেদনে আরো জানা যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সুপার ভাইজার এদের মধ্য থেকে অনেকের বেতন শীটে স্বাক্ষর ও নিয়েছেন। কিন্ত সম্মানী ভাতা প্রদান করেনি।

তবে পুরো উপজেলায় ১৪১ জন শিক্ষক রয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ জন শিক্ষক ভাতা পাইনি। শিক্ষকেরা সুপার ভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব অবহলার কথা বলে বেতন দেওয়া হচ্ছেনা বলে জানান। তবে জেলার অন্য উপজেলায় সকলেই বেতন পেয়েছেন বলে তারা জানান।

বিষয়টি নিয়ে উপ পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর মুঠো ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করে ও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফিল্ড অফিসার জাহাঙ্গীর আলম মুঠো ফোনে জানান বিষয়টি তিনি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবেন।

সুপার ভাইজার নাইক্ষ্যংছড়ি মোহাম্মদ সাইমুম পাটোয়ারীর সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি।

বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন বিষয়টি নিয়ে জেলা উপপরিচালক এর সাথে কথা বলেছেন।

কেয়ারটেকার মাওলানা মো. আলম ও মাও. মোঃ আবদুল্লাহ বলেন শিক্ষকেরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন ধরনের অবহেলা করেনি।

৫ ইউনিয়নের ৩৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বেতন ভাতার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version