parbattanews

সরকার কমালেও কক্সবাজারে কমেনি ভোজ্য তেলের দাম

DSCN0004

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নিত্য প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমিয়েছে সরকার। কিন্তু তেলের দাম কমালেও এর কোন প্রভাব পড়েনি কক্সবাজারের বাজার গুলোতে। বরাবরই পূর্বের দাম বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। ফলে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। দাম কমার সু-সংবাদের তারা সন্তুষ্ট হলেও বাজারে এসে ভিন্ন চিত্র দেখে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে ঝগড়া।

ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেনা অনুযায়ী সারাদেশে ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমানো হয়েছে। নির্দেশনার পর ৩ দিন পার হয়ে গেলেও কক্সবাজারে তেলের দাম কমেনি। বরং আগের দামই রয়ে গেছে। আর তা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোজ্য তেলের দাম সরকার কমলেও কোম্পানি বা আড়তদাররা এখনও দাম কমায়নি। বোতল ও প্যাকেটের গায়ে পূর্বের দামই রয়ে গেছে। আর ওই দামেই তাদেরকে ভোজ্য তেল ক্রয় করতে হচ্ছে। যার ফলে বাধ্য হয়ে পূর্বের দামে বিক্রি করতে হচ্ছে দোকানদার দের।

কক্সবাজার শহরের বড়বাজার, বাহারছড়া বাজার, কানাইয়া বাজার ও কালুর দোকান ঘুরে দেখা যায়, রূপচাঁদা ও পুষ্টিসহ বিভিন্ন তেল কোম্পানির বোতল ও পেকেট জাত তেলের দাম পূর্বের দামেই রয়েছে। রূপচাঁদা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। পুষ্টি লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়া খোলা সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা। আর সুপার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। সরকারের পক্ষ থেকে ভোজ্য তেলের দাম কামানো হলেও তার কোন প্রভাব বাজারে না থাকায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

বড় বাজারে বাজার করতে আসা লিয়াকত আলী জানান, ভোজ্য তেলের দাম কমার সংবাদ শুনে ভাল লেগেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু বাজারে এসে আগের দাম দেখে মন খারাপ হয়ে গেছে। অনেক সময় সরকারের পক্ষ থেকে দাম কমানো হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্তিকেট করে পূর্বের দামেই রেখে দেয়।

বড়বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, তিনি শুনেছেন ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমিয়েছে সরকার। কিন্তু বিভিন্ন তেলের কোম্পানিরা আগের দামই রাখছে। বোতল ও প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে পূর্বের দাম। খোলা তেলও বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামে। এছাড়া যেসব তেল আগের দামে ক্রয় করা হয়েছে তা তো সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। আর স্টকের মালগুলো’ত এর চেয়ে কমে বিক্রি করা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে ক্রেতাদেও কাছে পূর্বের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ শাহাজাহান আলী জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়েছে। আর এই নির্দেশ অমান্য করা ভোক্তাধিকার আইনের বর্হিভূত। যা আইনগত অপরাধ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারি ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও উৎপাদনকারী সমিতির সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রানালয়ের যৌথ সভায় ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর সিন্ধান্ত গৃহিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ভোজ্য তেলের আমদানিকারক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান এই দাম কমিয়েছেন। তাকে সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ঘোষণা দেওয়া হয় গত শনিবার থেকে সারা দেশে ভোজ্য তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা করে কম রাখা হবে।

Exit mobile version