করোনাভাইরাস:পানছড়ির সলিট চাকমা’র সলিট সেবা
কোভিড-১৯ এর পানছড়ি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা। তার নির্দেশনাতেই করোনা প্রতিরোধের নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তার নির্দেশনায় চলছে করোনাভাইরাস সন্দেহজনকদের নমুনা সংগ্রহের কাজ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) সলিট চাকমা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা জানান, সে খুব সাহসী লোক। বলা মাত্রই ছুটে যান নমুনা সংগ্রহে। এমন সাহসী লোক থাকলে যে কোন প্রতিষ্ঠানের দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব।
তার দুই সহযোগি রয়েছে এমটিইপিআই ললেন্দ্র ত্রিপুরা ও অফিস সহায়ক সাধন চাকমা। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) সলিট চাকমা নিজের পেশাদারিত্ব প্রমান করেছেন নানান কর্মকাণ্ডে। করোনার মহামারিতে আতঙ্ক হয়ে লকডাউনে গৃহবন্দি আর কোয়ারেন্টিনে অবস্থান নেয়া সন্দেহজনকদের নমুনা সংগ্রহে ছুটে চলে সলিট।
নিজের নিরাপত্তা জনিত পোশাক পরে সে সব সময় প্রস্তুত। এ পর্যন্ত উপজেলার ২০টি নমুনা তার হাতেই সংগ্রহ করা। পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে তার ল্যাবের সামনেই কথা হলে সলিট জানায়, গত চার মাসে তিনি একদিনের জন্যও ছুটি ভোগ করেননি। দেশকে নিরাপদ রাখতে পেশাদারিত্বের সহিত তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে হলেও নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাবেন।
তার অনুপ্রেরণা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: অনুতোষ চাকমা। ভয়কে জয় করার যে সাহস দরকার সেটা তিনি এরি মাঝে অর্জন করে নিয়েছেন। তাই কারো কারো মুখে শুনা যায় নামে যেমন সলিট কাজেও সলিট।