parbattanews

সাকিবদের এশিয়া ও বিশ্বকাপের ক্যাম্প শুরু চলতি মাসেই

টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের মিশন। এশিয়া কাপের আগে জাতীয় দলের আর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। লম্বা সময় পর আগামী ৩১ আগস্ট এশিয়া কাপ দিয়ে মাঠের লড়াইয়ে ফিরবে বাংলাদেশ। যদিও খুব বেশি ছুটি পাচ্ছেন না সাকিব-মুশফিকরা। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো দুটি বড় ইভেন্টে নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিতে আগামী ২৯ জুলাই জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হতে পারে বলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন।

এই ক্যাম্প শুরুর আগে প্রাথমিক একটি দল ঘোষণা করবে বিসিবি। সেই দলে তামিম ইকবালকে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তামিমের ফিটনেস নিয়ে বক্তব্যে ঝড় ওঠে ক্রিকেট অঙ্গনে। এরপর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে আছেন তামিম। ফিট হলে এশিয়া কাপের আগেই দলে ফিরবেন বলে তিনি জানান। তবে অধিনায়ক হিসেবে ফিরবেন কি না নিশ্চিত নয়।

ক্যাম্পে তামিমকে পাওয়া যাবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেছেন, ‘এটাতো মেডিক্যাল টিম আমাদের জানাবে। এই মুহূর্তে আমাদের জন্য বলা কঠিন। মেডিক্যাল টিম যখন আমাদের আপডেট দেবে, তখনই আমরা বলতে পারবো।’

এশিয়া কাপের আগেই বিশ্বকাপের দলটা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। মূলত বিশ্বকাপের দলটিই এশিয়া কাপে অংশ নেবে। এমন একটি ইভেন্টে দল গঠন করতে গিয়ে চাপ অনুভব করেন বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘চাপ তো কাজ করে। শুধু বিশ্বকাপ বলেই না, প্রতিটি সিরিজেই চাপ থাকে। কারণ ভালো খেলাটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেরকম এগিয়েছি অন্য দলও এগিয়েছে। সেসব দিক মাথায় রেখেই দলটাকে প্রস্তুত করতে হয়। এখন ব্যাক টু ব্যাক অনেক খেলা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো এই জায়গাটা নিয়েও মাথায় কাজ করতে হচ্ছে। আগামী ২৯ তারিখে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হবে, আশা করি ওখানে ক্রিকেটাররা পুরো তৈরি হয়ে যেতে পারবে।’

আফগানিস্তান সিরিজে তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি নান্নু। লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের ভালো করে দলকে জেতানো যথেষ্ট ভালো দিক। আশা করছি এরা ধারাবাহিকভাবে এই প্রক্রিয়ায় থাকবে। আশা করছি আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সব ফরম্যাটেই ভালো করবো।’

অভিষেকের পর থেকে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। আফগানিস্তান সিরিজেও এর বত্যয় ঘটেনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তার ক্যামিও ইনিংসেই জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো করেছেন। হৃদয়ের পারফরম্যান্স নিয়ে নান্নু বলেছেন, ‘ওকেতো অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই এইচপিতে নিয়ে নার্সিং করা হচ্ছিল। এইচপিতে নার্সিংয়ের পর ‘এ’ দলে ভালো খেলেছে, জাতীয় দলে ভালো খেলছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। এইচপির বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এখন জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করছে। এ জায়গার নার্সিংটা আমাদের যথেষ্ট কাজে আসছে।’

Exit mobile version