parbattanews

সাগরে মহেশখালীর  আরও ১০ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ: পরিবারে কান্নার রোল

নিখোঁজ

মহেশখালী প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগর থেকে নৌ-বাহিনী কর্তৃক এফবি রুহানের ১২ জন মাঝি মাল্লা উদ্ধার হলেও এখনো ১০ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে আজও।

এফবি রুহান ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুর গ্রামের মৃত নুর আহামদের পুত্র নুরুল ইসলাম। তিনি মহেশখালী থানায় দায়েরকৃত এক সাধারন ডাইরী সূত্রে জানান, প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে গত ৫ নভেম্বর দুর্যোগে পতিত হওয়া এর নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের মধ্য থেকে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সার্চ অভিযানে ঐ ট্রলারের ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আরো ১০ জন মাঝি মাল্লা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি রুহান যাহার রেজিঃ নং- এফ ৯৬৯৬, ইঞ্জিন নং- ০৮৩০, মডেল নং- ৩ ইএসডি ৭৪ অর্শশক্তি সম্পন্ন, নির্মাতা ইয়ানমান কোম্পানী জাপান। বর্ণিত ট্রলারটি ৩ নভেম্বর ২৯ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ আহরন অবস্থায় ছিল। দূরভাগ্যক্রমে ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে সোনাদিয়ার পশ্চিমে গোলিদ্ধার এলাকায় জাল বসানো অবস্থায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে সাগরে পতিত হয়। এ সময় ট্রলারের ২৯ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ মর্মে বেতার বার্তায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জাহাজ ‘স্বাধীন’ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এফবি রুহানের ১২ জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে। ৯ অক্টোবর মহেশখালী থানায় আরো ১০ জন মাঝি মাল্লা কূলে ফিরে না আসায় ট্রলারের মালিক নুরুল ইসলাম একটি সাধারন ডাইরী করেন। যার নং ২৮৮।

এখনো নিখোঁজ জেলেরা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুর গ্রামের ফজল করিমের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২৮), মোহাম্মদ জাহিদ (২১), নুর আহামদের পুত্র আব্দু শুক্কুর (২৫), আলী আজমের পুত্র জকির আহামদ (২৩), মামুন (১৯), কায়দাবাদ গ্রামের গুরা মিয়া পুত্র নুরুর আজম (২৮), ইমান শরিফ এর পুত্র হাবিব উল্লাহ্ (২৫), হোয়ানক পানিরছড়ার কামাল পাশার পুত্র মাহাবুব আলম (২৫), কুতুবজোম কামিতার পাড়ার মো: সিকদার মিয়ার পুত্র উমর মিয়া, ছোট মহেশখালী লম্বাঘোনা এলাকার দুলা মিয়ার পুত্র ছৈয়দনুর ও মুদিরছড়া এলাকার পিতা- অজ্ঞাত নুরুল আলম এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে একই পরিবারের দুইজন সহ একাধিক পরিবারের প্রধান ব্যক্তি সাগরে নিখোঁজ থাকায় এলাকায় এলাকায় কান্নার রোল সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অবিভাবক তাদেরকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।

Exit mobile version