সাঙ্গু নদীতে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার, ক্ষতির মুখে জলজ প্রাণী

fec-image

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ আর সেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু অবৈধ চক্র বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সহজ উপায়ে ইলেকট্রনিক্স শর্ট সার্কিট দিয়ে মাছ শিকার।

যার প্রবণতা বর্তমানে বান্দরবানের দৃশ্যমান। বান্দরবান শহরের নোয়াপাড়া, খানসামা, কালঘাটা, বড় মাদক, ছোট পাথর এলাকায় ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে।

বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর বিভিন্ন জায়গায় ইনভার্টারের সাহায্যে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। শনিবার (২০ মার্চ) দৃশ্যটি গেল বান্দরবানের কালাঘাটা সাঙ্গু নদীতে।

বর্তমানে এই সময়টায় নদীর জল কম থাকে। সেই কারণে কিছু মৎস্য শিকারি এই পদ্ধতিতে মাছ ধরছে। জানা গিয়েছে, পিঠে করে ব্যাটারি নিয়ে ইনভার্টার দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে জলে দিতেই মরে যাচ্ছে নদীর মূল্যবান নদীয়ালি মাছ। আর এতেই বিপন্ন হচ্ছে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তার সাথে রয়েছে পুঁটি, ট্যাংরার মত সুস্বাদু মাছ।

শনিবার (২০ মার্চ) খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু সাংবাদিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পেরে পালিয়ে যান অবৈধভাবে মৎস্য শিকারীরা।

শনিবার সকাল থেকে কালাঘাটা নদীর বিভিন্ন জায়গায় এই পদ্ধতিতে মাছ ধরছিল কিছু মৎস্য শিকারি। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ইলেকট্রিক শক দিয়ে নদীর ছোট ছোট মাছ ১৫-২০ কেজি করে ধরে এই মৎস্য শিকারিরা।

মাছ ধরার এই অবৈধ মেশিনগুলা বার্মা ও ভারত থেকে আমদানি করা হয় বলে জানা যায় । এছাড়া বান্দরবান বাজারে কিছু দোকানে অর্ডারের মাধ্যমে মেশিন পাওয়া যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যশিকারি জানায়।

এই বিষয়ে সরাসরি বান্দরবান সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে এভাবে সরাসরি মাছ ধরার কোন অনুমতি নেই । যারা এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তবে আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ তথ্যটি দেওয়ার জন্য। আমরা ভবিষ্যতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি আরও বলেন কালাঘাটা, রেমাক্রি, বড় পাথর, বড় মোদক ও সাঙ্গু নদীর বিভিন্ন এলাকায় একটা অবৈধ চক্র সহ কিছু জেলে বিভিন্ন নদীতে এইভাবে মাছ মৎস্য শিকার করছে। এই পদ্ধতিতে মাছ ধরলে ছোট মাছ যেমন মারা যাবে, পাশাপাশি মাছের প্রজনন ক্ষমতাও নষ্ট হবে। তাছাড়া মাছের সঙ্গে সঙ্গে জলজ প্রাণীরাও মারা যাচ্ছে। তবে এবছর শুনেছি আবার এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হচ্ছে। এখন থেকে আমরা নদীগুলিতে টহল দেব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন