parbattanews

সাঙ্গু নদীতে রথ উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মারমাদের প্রবারণা উৎসব

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রদীপ জ্বালিয়ে সবার জন্য শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন

বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে রথ উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা। জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠ থেকে গানের সুরে সুরে এই রথ টেনে নেওয়া হয় নদীর তীরে।

এসময় ফানুস আর আতশবাজির আলোতে আকাশ আলোকিত হয়ে উঠে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) অষ্টশীল পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। রোববার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত তিনদিন ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারে দিনব্যাপী ছোয়াইং দান (খাবার প্রদান), সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও রাতে মারমা পল্লীতে ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরির উৎসবে মেতে উঠেছিলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।

এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার (১অক্টোবর) রাতে সাঙ্গু নদীতে ময়ূর সদৃশ রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বর্ণাঢ্য প্রবারণা উৎসব। এর আগে রথটি রাজার মাঠ এলাকায় পৌছলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রদীপ জ্বালিয়ে সবার জন্য শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন। পরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে উদযাপিত হয় ফানুস উৎসব।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তিনমাস ধর্মীয় কাজ (বর্ষা বাস) শেষে ও শীল পালনকারীরা প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে বিহার থেকে নিজ নিজ সংসারে ফিরে যান। এই কারণেই এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে।

বান্দরবানের ক্ষদ্র্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মং নু চিং মারমা বলেন, মারমারা বিশ্বাস করেন মঙ্গল রথ দর্শন করলে পুণ্য লাভ হয়। তিনি আরো জানান- করোনার কারণে এবার আনুষ্ঠানিকতায় কিছু নিয়ম কানুন ছিল। করোনা থেকে মুক্তি পেতে এবার বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

Exit mobile version