parbattanews

সাজেকে জেএসএস কর্তৃক ধাপে ধাপে বন্ধ হচ্ছে রিসোর্ট-কটেজ

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সাজেকে জেএসএস কর্তৃক রিসোর্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দিচ্ছে সাজেকের রিসোর্ট কটেজ গুলো।

কোন কারণ ছাড়াই সাজেকে জেএসএস (সন্তু) কর্তৃক গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ১৬টি রিসোর্ট কটেজে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সংগঠনটি।

জানা যায় গত ১৭ জানুয়ারি মনটানা রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট ও রয়েল সাজেক, ২৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় রিসোর্টে ও হিমালয় রিসোর্ট, ২ মার্চ গরবা রিসোর্টে, মেঘ কাব্য রিসোর্ট, সাজেক মেঘ বিলাস ও আল মদিনা রেস্টুরেন্ট, ৩ মার্চ বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট ও  মহসিন রেস্টুরেন্ট এবং মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মেঘ মাচাং রিসোর্ট, মেঘ পুন্জি রিসোর্ট, মৈত্রী  রিসোর্ট, ড্রীম সাজেক রিসোর্ট, দার্জিলিং রিসোর্ট ও এভারেস্ট রিসোর্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেএসএস (সন্তু) সাজেকের এরিয়া কমান্ডার প্রমিজ চাকমা ওরফে প্রমেস চাকমা রিসোর্টগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জিপ গাড়ির ড্রাইভারদের নিষেধ করে দেয়।

এমতাবস্থায় রিসোর্ট মালিকরা তাদের পূর্বের পাওয়া বুকিংগুলো বাতিল করে দিয়েছেন। এবং কোন রিসোর্ট মালিক পক্ষ এবিষয়ে আঞ্চলিক সংগঠনের ভয়ে প্রসাশন বা নিরাপত্তাবাহিনীর সহযোগিতাও নিচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮শ’ ফুট উচ্চতায় গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পানি সরবরাহ করা হয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঝরণা এবং ছড়া থেকে।

এ বিষয়ে সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সু-পর্ণ ত্রিপুরা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই রিসোর্ট গুলোতে জেএসএস কর্তৃক পানি সরাবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং কি কারণে বন্ধ করেছে এর কোন কারণও বলছে না, তবে কি করা যায় আমরা সকল রিসোর্ট মালিক পক্ষ দু’য়েক দিনের মধ্যে বৈঠক করব।  দেখি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

জেএসএস বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বড় ঋষি চাকমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই আমি নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছি। তবে সংগঠন থেকে আমার জানা মতে এ রকম কোন কিছু করা হয়নি তবে আমি এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখব।

এবিষয়ে সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ার’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version