parbattanews

সাজেকে পুত্রের হাতে পিতা খুন, সহযোগীসহ গ্রামবাসীর হাতে আটক

সাজেক প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেকের উত্তর ভাইবোন ছড়া নামক এলাকায় রবিবার মধ্যরাতে শান্তিলাল চাকমা(৫৫)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার পুত্র সোহেল চাকমা(২৫) ও ভাতিজা আলোময় চাকমা(৩৩)। কুপিয়ে নৃশংস হত্যার পর গলাকাটা লাশ কাচালং নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।

এঘটনায় গ্রামবাসী তাদের দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী খুনীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, পিতার সাথে পুত্রের পারিবারিক কলেহ ও ভাতিজার সাথে অর্থ লেনদেন থাকায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে নিহত শান্তিলাল চাকমার ভাতিজা আলোময় চাকমা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী সে এর আগেও একাধিক নিরিহ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এলাকায় কারো সাথে তার তর্ক হলেও তাকে হত্যা করতে তার দ্বিধাবোধ হতনা তাই তার এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এলাকাবাসী ভয়ে আতঙ্কে মুখখোলে কিছু বলার সাহস পেতনা। হত্যাকাণ্ড আর সহ্য করতে না পেরে চার-পাঁচ গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে রাত ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

সুত্রটি আরও জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ এর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল সেখান থেকে এমন কর্মকাণ্ড করায় কেহ কিছু বলার সাহস পেতনা সে বেশি উশৃঙ্খল ও অন্যায় অত্যাচার বেশি করায় ২-৩ মাস আগে তাকে ইউপিডিএফ থেকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কারের পরেও এলাকায় অন্যায় অত্যাচার হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখে।

এবিষয়ে সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদেরকে আটক করা হয় আটকৃতরা প্রাথমিক ভাবে তাদের দোষ স্বিকার করে। লাশ উদ্ধারে যৌথবাহিনীর নদী ও স্থলে তল্লাশী চলছে । তবে আটকৃত’র মধ্যে আলোময় চাকমা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এমনকি সে এর আগে আমাকে মোবাইলে সাজেক থানা বোমা মেরে গুড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছিল। আগামীকাল তাদেরকে কোর্টে প্রেরন করা হবে।

Exit mobile version