parbattanews

সাজেকে শিশু নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাকা অবরোধ প্রত্যাহার

সাজেক প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের শিজকছড়া পানির পয়েন্ট নামক স্থানে শিশু নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাকা সকাল সন্ধা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার দুপুর ৪টায় মালিকের পক্ষ থেকে নিহত শিশুর পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দেওয়ার আশ্বাসে এই অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় স্থানীয়রা।

এর আগে দুপুর ২টায় মাচালং বাজারে সাজেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাসবভনে এই সমস্যা সমাধানে মালিক পক্ষ এবং স্থানীয়দের মাঝে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুফিদুল আলম, সাজেক থানার অফিসার ইনসার্জ নুরুল আনোয়া, সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা, ঢাকা মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজম আলী, নিহতের পিতা দয়াম্বর চাকমা, মাচালং বাজার কমিটির সম্পাদক রতন চাকমাসহ এলাকার কার্বারী বৃন্দ।

সভায় নিহতের পিতা শিশুর ক্ষতিপূরণ ও আহত মেয়ের চিকিৎসার খরচ এবং ঘর মেরামত বাবদ ৮লক্ষ টাকা দাবি করেন। এতে মালিক পক্ষের সভাপতি দিতে অসীকৃতি জানায়। এ সময় উপস্থিথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চেয়ারম্যান কার্বারীগণ নিহতের পিতাকে কিছু টাকা কমানোর জন্য বলেন এবং মালিক পক্ষকে কিছু বাড়িয়ে দিতে বলেন। অবষেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিহতের পরিবারকে প্রদান করতে বলেন। এরপর উভয় পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা মেনে নেন।

শিশু নিহতের সমস্যা সমাধান হওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে এলাকাবাসী বিকাল ৪টায় অবরোধ তুলে নেয় এবং ঘোষিত সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

উল্লেখ্য শিজকছড়া পানির পয়েন্ট নামক স্থানে শিশু নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১০.৩০টায় সাজেকের মাচালং বাজারে রাস্তায় আগুন দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজাতীয়রা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রিপন চাকম, সুমন চাকমা,চিক্য চাকমা, রিকো চাকমা, সাগরিকা চাকমা,মরধছ চাকমামাসহ প্রমুখ। এ সময় বক্তারা সরকারের প্রতি কয়েকটি দাবি তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি গুলো হচ্ছে: (ক) শিশু নিহতের প্রতিবাদে সাজেকে শনিবার সকাল সন্ধা সড়ক অবরোধ। (খ) রবিবার সাজেকে সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক পালন ও কালো বেচ ধারণ। (গ) রবিবারের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সোমবার থেকে অর্নিদিষ্টকালের জন্য সাজেকে সড়ক অবরোধ চলবে।

দাবি: (ক) নিহত শিশুর ক্ষতিপূরণ বাভত ১০লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে। (খ) দ্রুত গতিতে পর্যটকের গাড়ী চলাচল বন্ধকরতে হবে (গ) বিদ্যালয় ও দোকানের সামনে স্পিড ব্রেকার এবং প্রতিটি মোড়ে সাংক্ষেতিক চিহ্ন দিতে হবে।

Exit mobile version