সাফজয়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের পাঁচ নারী ফুটবলার ও সহকারী কোচকে সংবর্ধনা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে সাফনারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২২ এ জয়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বীর কন্যাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল “তোমরা আমাদের গর্ব”। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে জেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

এদিন কোর্ট বিল্ডি এলাকা থেকে ছাঁদ খোলা গাড়িতে করে শোভা যাত্রাসহকারে তাদের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। পরে খাগড়াছড়ি জেলার তিন ফুটবলার- আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী, মনিকা চাকমা ও নারী ফুটবল জাতীয় দলের সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমা এবং রাঙামাটির দুই ফুটবলার- ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাঁচ নারী ফুটবলার ও এক কোচকে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককের মাঝে ২ লাখ ১ হাজার টাকা করে চেক ও সম্মাননা স্বারক তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী ও রূপনার বাড়িতে যাওয়ার জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ফুটবলাদের প্রশিক্ষণের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পাহাড়ের নারীরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে গৌরব অর্জন করেছে, আমরা সকলেই গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত। তারা এ জেলার তথা বাংলাদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তোমরাই করেছো বাংলাদেশকে গর্বিত। তোমাদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা সবসময় পাশে আছি।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক পিপিএম, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. হাফিস, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মো. জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কেএমইএচ ইয়াসির আরাফাত, মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুধীন কুমার চাকমা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আনুচিং মগিনী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ সাফ নারী ফুটবল দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে ৫টি গোল করেন। আনাই মগিনী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ সাফ নারী ফুটবল দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে খেলেন। রুপনা চাকমা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ সাফ নারী ফুটবল দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে সেরা গোল রক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তৃষ্ণা চাকমা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ সাফ নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মনিকা চাকমা এই টুর্নামেন্টের অন্যতম খেলোয়ার ছিলেন এবং ঋতুপর্ণা চাকমাও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ সাফ নারী ফুটবল দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন।