চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়

সাব ইন্সপেক্টরসহ পুলিশ নিয়োগে পার্বত্য জেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকা কার্যকর করা হোক

fec-image

চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বিভিন্ন জাতিসত্ত্বাদের সদস্যসহ পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক সাব-ইনসপেক্টরসহ পুলিশ নিয়োগ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকা যেনো অবিলম্বে কার্যকর করা হয সে দাবী করেছেন। তিনি গত ২৬ মে রাঙামাটিতে এপিবিএন আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

চাকমা সার্কেল চিফ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগতম রাঙামাটিতে, উদ্বোধন করা প্রতিষ্ঠানসমূহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রের ও স্থানীয় জনগণের কল্যাণে তাদের ভূমিকা সফল হক তা আমি আন্তরিকভাবে কামনা করি।

২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিধানাবলিকে ভিত্তি হিসেবে রেখে এপিবিএনসহ সকল আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা রাখা হয় তার জন্য প্রধান অতিথির মাধ্যমে আবেদন রাখছি, দাবি রাখছি।

আমি মূলত ৩টি বিষয়ে প্রধান অতিথি ও সংসদ সদস্যের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

১)   সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রথাগত আইনসহ স্থানীয় মানুষের অধিকারকে রক্ষা করে, সম্মান করে সেই কার্যক্রম গৃহীত হয়।

২)   এপিবিএনসহ সকল আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী যাতে প্রথাগত নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ও জনগণকে সাথে ও পাশে রেখে তাদের সম্মানজনকভাবে সম্পর্ক ভিত্তি স্থাপন করে তাদের ভূমিকা রাখেন। এ অঞ্চলে ৫০০ এর অধিক নারী কারবারীসহ হাজার চারেক কারবারী রয়েছে, ৩৮০ এর মত মৌজা হেডম্যান রয়েছে, আমাদের ৩টি সার্কেল চিফ রয়েছে। আমি অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের তরফে পূর্ণাঙ্গ আশ্বাস দিচ্ছি যথাযথ সহযোগিতা করার জন্যে এবং আমি আবেদন জানাবো, তাদের সাথে যথাযথ সম্পর্ক রেখে আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভূমিকা রাখেন।

৩)   বিভিন্ন জাতিসত্ত্বাদের সদস্যসহ পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক সাব-ইনসপেক্টরসহ পুলিশ নিয়োগ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকা যেনো অবিলম্বে কার্যকর করা হয, সেটা আমি সরকারের কাছে আকর্ষণ করছি।

দেবাশীষ রায় বলেন, এ অঞ্চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তথাকথিত রাজনৈতিক দলের অকাম্য ভূমিকার অবসান আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক পেলে এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে তুলে রাখলে যথাযথ শান্তি পুনর্প্রতিষ্ঠা না হয়ে পারে না বলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ২ ডিসেম্বর ১০ বছরের অধিক জঙ্গলে থাকা তৎকালীন জনসমিতির সমিতি তার প্রতি আস্থা রেখে তখন যদি হতে পারে এখন না হওয়ার কোন কারণ দেখি না। কিন্তু কেবল সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাকালে এই সমস্যার সমাধান হবে না।

তিনি আরো বলেন, এ সমস্যার সমাধান না হলে কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়, সারা দেশের জন্য স্থিতিশিলতা, শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য ভালো না। আমি এখনো আশা রাখি যে, প্রধানমন্ত্রী ডাক দেবেন, আমরা সকলে শামিল হবো, যাতে এ অঞ্চলে আবারো আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা পুর্ণপ্রতিষ্ঠা করতে পারি এবং বাংলাদেশের পতাকা তলে এখানে যেন যথাযথ উন্নতি হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন