parbattanews

সাম্প্রতিক কেএনএফের হামলা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে

ফাইল ছবি

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী তৎপরতা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে রুমা ও থানচি এলাকার তিনটি ব্যাংক লুট করে তারা বান্দরবানজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, থানচি থানায় হামলা ও আলীকদমে একটি নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে গুলিবর্ষণ করে তারা তাদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে।

প্রথমে রুমায় ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সোনালী ব্যাংকের অর্থ লুট করে ও ম্যানেজারকে অপহরণ করে। সঙ্গে নিয়ে যায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র। পরে ৩ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করতে করতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ঢুকে লুটতরাজ করে নিরাপদেই স্থান ত্যাগ করে। এর পরদিন প্রায় শতাধিক কুকি-চিন সশস্ত্র সদস্য থানচি থানাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে দখল করার চেষ্টা করে। পুলিশ পালটা গুলি করলে ওরা সেখান থেকে সরে যায়।

থানচি থানা হামলার দুই ঘণ্টার মধ্যে আলীকদমে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে ওরা গুলিবর্ষণ করে। কেএনএফের এ নানামুখী হামলা পাহাড়ের নিরাপত্তার জন্য মোটেও ভালো খবর নয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা করার মানে হলো কেএনএফের শক্তিমত্তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গত দু’তিন বছর ধরেই বান্দরবান এলাকায় কেএনএফের তৎপরতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারা অর্থ রোজগারের একটা পথ বেছে নিয়েছিল। এ অর্থ দিয়ে অস্ত্র ক্রয় করে হয়তো তারা শক্তি বৃদ্ধি করেছে। পরবর্তীকালে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অর্থ জোগানের সে পথ বন্ধ হলেও তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র ক্রয় করা কিন্তু বন্ধ থাকেনি। গত কয়েকদিনে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে যে লাখ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেল, সে অর্থ দিয়েও অস্ত্র ক্রয় করবে সন্দেহ নেই। তাছাড়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, এগুলো আবার আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবে। এটিও কম উদ্বেগের কথা নয়।

শান্তি আলোচনার মাঝেই কেএনএফ কেন হঠাৎ করে এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করল তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ বিষয়ে তারা এক বিবৃতির মাধ্যমে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। কেএনএফ সেই বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছে। তারা বলছে, শান্তি আলোচনায় যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেখানে কিছু শর্ত ছিল। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে সে শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। শান্তি আলোচনায় কেএনএফ এমন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, যা এখনোই প্রতিপালন করা সম্ভব নয়। সে শর্তগুলোর মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, তা হলো কিছু স্ট্র্যাটেজিক পজিশন থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা এবং তাদের কিছু গ্রেফতারকৃত সশস্ত্র সদস্যকে মুক্তি দেওয়া। এ ছাড়া আরও কিছু শর্তের কথা তারা তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।

কেএনএফ দাবি করছে, সরকার এ শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে বলেই প্রতিউত্তরে তারা এ অপতৎপরতা চালিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিবৃতি থেকে অনুমান করা যায়, তারা শান্তি আলোচনা থেকে এক প্রকার বেরিয়ে গেছে। তাদের ধারণা, শান্তি আলোচনার নামে সরকার প্রকারান্তরে কেএনএফকে দুর্বল করে দেওয়ার পাঁয়তারা করেছিল। তাদের বক্তব্য, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়েছে দৃশ্যত শুধু লোক দেখানো আর কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর প্রতি মিথ্যা আশ্বাস প্রদানের জন্য। তারা সরকারের কাছে ইমেজ রক্ষার্থে কাজ করছেন।’ তারা সরকারের প্রতিনিধি সদস্যদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। শান্তি আলোচনা নিয়ে প্রথম থেকেই কেএনএফ নেতৃত্বের ভেতর দ্বিমত ছিল। তাদের একটি অংশের অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ইচ্ছা থাকলেও অন্য একটি অংশ সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিল। এ অংশটি বরাবরই চাইছিল শান্তি প্রক্রিয়া নস্যাৎ হোক। কুকি-চিন গোষ্ঠীর এ অংশটির আসল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের উদ্দেশ্য দীর্ঘকালীন সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড গড়ে তোলা। এ সম্পর্কে বুঝতে হলে কিছুটা পেছনে তাকাতে হবে। গত বছর ভারতের মণিপুর অশান্ত হয়ে উঠলে ঢাকার এক দৈনিক পত্রিকায় মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে লেখা আমার একটি নিবন্ধে এ সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করেছিলাম। এখানে তার কিছু অংশ উল্লেখ করতে চাই।

সন্দেহ নেই, বর্তমানে বান্দরবানে নতুন আতঙ্কের নাম কেএনএফ। ২০০৮ সালে কেএনএফ প্রতিষ্ঠিত হলেও, ২০১৬ সালে সংগঠনটি সশস্ত্র গ্রুপ হয়ে গড়ে ওঠে। শুরুতে এর নাম ছিল ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স’। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ সামাজিক কর্মসূচি পালন করত। এ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তারা ভারতের মণিপুর ও মিয়ানমারের চিন রাজ্যের কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কুকি-চিনের সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফ গঠিত হলে এ দলের সদস্যদের ভারতের মণিপুর ও মিয়ানমারের কারেন ও কাচিন রাজ্যে পাঠানো হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। এ দলের সদস্যদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এক মাস ভারতের মিজোরামে তাত্ত্বিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাকি দুই মাস মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের সঙ্গে যৌথভাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে। প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৯ সালে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরে আসে। শুরুতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও ধীরে ধীরে তারা সশস্ত্র হয়ে ওঠে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে কেএনএফের হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। এদের অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ভারতের মিজোরামে যাতায়াত করে। কুকি-চিনরা নিজেদের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী মনে করে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে তারা বার্মিজ ও ভারতীয় জাতিভুক্ত এবং বহিরাগত মনে করে। কেএনএফ তাদের সশস্ত্র তৎপরতা শুরুর প্রথম থেকেই পার্বত্য তিন জেলার লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে আসছে। উল্লেখিত এলাকা নিয়ে তারা একটি মানচিত্রও তৈরি করেছে। তাদের এ প্রস্তাবিত মানচিত্রের তিনদিকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত।

পৃথক রাজ্য দাবির পেছনে কেএনএফ যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে, তার পেছনেও ছোট্ট একটি ইতিহাস আছে। উনিশ শতকের শেষ ভাগে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণ পূর্ব, পূর্ব দিক থেকে নানামুখী আক্রমণ আসতে থাকে। নানামুখী আক্রমণের চাপে কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর লোকরা ধীরে ধীরে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার পর্বতমালা, লুসাই পাহাড়ের দিকে চলে যায়। তাদের ছেড়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোই হলো বর্তমানে কুকিদের দাবি করা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলা। এ অঞ্চলে পরবর্তীকালে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকদের দখলে চলে যায়। ১৮৯২ সালের পর তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারও কুকি জনগোষ্ঠীকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তিন ভাগে ভাগ করে দেয়। তৎকালীন বার্মার চিন পর্বতমালা, বাংলার দক্ষিণ ভাগে লুসাই পর্বতমালা ও উত্তরে আসামের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দেয়। এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা উচিত। বাংলাদেশে দু’দশক ধরে চাকমাদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব নৃগোষ্ঠীর লোকরা তথাকথিত শান্তি বাহিনীর নামে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, তারা নিজেদের আদিবাসী হিসাবে দাবি করে আসছে। আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও তাদের আদিবাসী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু বাস্তবতা হলো, এসব নৃগোষ্ঠীর লোক আদতেই বাংলাদেশের বাইরে থেকে আগত জনগোষ্ঠী। বরং কুকি-চিন জনগোষ্ঠীরা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়েরও অনেক আগে থেকে এ অঞ্চলে বসবাস করছে! বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের উল্লেখিত আটটি উপজেলায় কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা সাধারণত উঁচু পাহাড়ে থাকে। তারা বাংলা বলতে পারে না বলে পার্বত্য চট্টগ্রামসংলগ্ন মানুষের কাছে তারা ‘কুকি’ নামেই পরিচিত। তাদের ‘জো’ জাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর যারা বাংলা বলতে পারে যেমন-চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রামের মানুষ জুমিয়া বা ‘জুম্মা’ নামে ডাকে। এ জনগোষ্ঠীই শান্তি বাহিনী সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘জুম্মু ল্যান্ড’ হিসাবে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কুকিরা সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই দুর্ধর্ষ, আগ্রাসী ও হিংস্র জাতি হিসাবে পরিচিত। কুকিরা মনে করে, লুসাই পর্বতমালার পাদভূমি কুকিদের মাতৃভূমি, আর বাকিরা অর্থাৎ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি জনগোষ্ঠী সব বহিরাগত। কুকিরা তাই প্রয়োজনে, বাইরের শক্তির সাহায্য নিয়ে হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের যে এলাকা থেকে তারা বিতাড়িত হয়েছিল, সে এলাকাগুলো নিয়ে তাদের কল্পিত স্বপ্নরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে পৃথক শাসনব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

গত বছরের জুলাইতে ভারতের মণিপুরে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল, তা কেবল মণিপুরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আশপাশের রাজ্যের কুকিসহ সমগোত্রীয় সম্প্রদায়ের ভেতর বিস্তার লাভ করেছিল। কথিত আছে, এ সংঘাতে আশপাশের রাজ্যগুলো থেকে, এমনকি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বসবাসকারী কুকি সম্প্রদায়ের যোদ্ধারাও মণিপুরের কুকিদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল। কুকিরা মূলত খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী। জাতিগত ও ধর্মীয় বিশ্বাসে অভিন্নতা থাকায় মণিপুরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কুকি-চিনদের ভেতর খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ‘বৃহত্তর কুকিল্যান্ড’ স্থাপনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করতেই পারে। মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের বোম এবং ভারতের মিজো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকিদের নৃতাত্ত্বিক মিল আছে। এ ধরনের প্রচেষ্টার পেছনে খ্রিষ্টানপ্রধান উন্নত দেশগুলোর সম্পৃক্ততা থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইন্দোনেশিয়ার খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ‘ইস্ট তিমুর’ ও সুদানের ‘দক্ষিণ সুদান’ প্রতিষ্ঠার পেছনে এসব দেশ যে ইন্ধন জুগিয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। ইস্ট তিমুর ও দক্ষিণ সুদান নামক দুটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই এ ধরনের প্রচেষ্টার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো কারণ দেখি না।

এ ধরনের তৎপরতার ওপর সার্বক্ষণিক সৃষ্টি রেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে শুধু বেসামরিক প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। পাহাড়ে সন্ত্রাসী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর প্রশিক্ষণ একমাত্র সেনাবাহিনীরই আছে। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছে। অতএব সেনাবাহিনীর নেতৃত্বেই সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

 

Exit mobile version