সিনহা খুনের মামলাটি সাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে: লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুরে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খুনের মামলাটি খুব সাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একটি অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, উক্ত ঘটনায় মেজর মো. সিনহা রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের জন্য একজন চৌকস কর্মকর্তাকে আইও করা হয়েছে। যিনি ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মামলার তদন্ত সুন্দরভাবে শেষ করেছেন।

সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার সাগরপাড় সংলগ্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন।

 লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মেজর সিনহা খুনের মামলায় ৭ জন আসামীকে র‌্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাদের রিমাণ্ডের চতুর্থ দিন আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) শেষ হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ৫ম দিন। ক্রমান্বয়ে ৭ দিন তাদের রিমান্ড কার্যক্রম চলবে। এ মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় অভিজ্ঞ বেশ কিছু কর্মকর্তাও তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করছেন।

আমি নিশ্চিত আপনারা অবহিত আছেন, আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) র‌্যাব মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথেও বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন। মহাপরিচালক মহোদয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর পাশাপাশি সোমবার আমরা এপিবিএন এর সাবইন্সপেক্টর শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহকে আমাদের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা ওই দিন চেকপোস্টে ডিউটিরত ছিলেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাদের এ সংক্রান্ত কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুনের ঘটনাকেন্দ্রিক সর্বমোট চারটির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে দুইটি মাদক মামলা আদালতের নির্দেশে র‌্যাব-১৫ তদন্ত করছে। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই হত্যা মামলাটি আদালতের আদেশে র‌্যাব তদন্ত করছে।

র‌্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ইতোমধ্যে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাপটপসহ ২৯টি জিনিস পুলিশ জব্দ করেছিল। যেগুলো জিডিকর্মে রামু থানায় হেফাজতে রয়েছে। এসব র‌্যাবের তদন্তকারী দল হেফাজতে নিয়ে যাচাই করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, শিপ্রা দেবনাথের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সব ভাইরাল হয়েছে এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপাততঃ এ ব্যাপারে আমাদের কোন মন্তব্য নাই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন