parbattanews

সিনহা হত্যা মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি কারামুক্ত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি কারামুক্ত হয়েছেন।

তারা হলেন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।

গতকার সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতেই তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন। জেলা কারাগারের সুপার নেছার আলম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেকসুর খালাস দেওয়ার নির্দেশটি সোমবার রাতেই কারাগারে আসে। তারপর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সুপার বলেন, আদেশটি পাওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আদালতের আদেশে লেখা ছিল। ওসি প্রদীপ আর লিয়াকত কনডেম সেলে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে জেল সুপার।

মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৮ মাস পর সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।

জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে মামলা দায়ে মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং রায়ে খালাসপ্রাপ্ত সাত ৭ জনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমেদ জানান, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণতি হওয়ায় সোমবার জেলা কারাগার থেকে তার সাত মক্কেলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারা রাতেই নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।

ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথকভাবে কনডেমন্ড সেলে রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় ৩ জনকে সাধারণ কয়েদিদের সাথে এবং ৩ পুলিশ সদস্যদের পৃথকভাবে রাখা হয়েছে বলেও জানান জেল সুপার।

জেল সুপার নেছার আলম আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে তারা চুপচাপ রয়েছ। তাদের ঠিকমতো স্বাভাবিকভাবে খাবার দেয়া হচ্ছে এবং তারা খাবার গ্রহণ করছে।

২০২০ সালের ৩১ শে জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইনাম আহমেদ রাশেদ খান। এরপর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন।

Exit mobile version