parbattanews

সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা; প্রত্যাবাসন নিয়ে সংশয় কাটছেনা

সীমান্তে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ

প্রত্যাবাসন ঘিরে সীমান্তে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। অপরদিকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি লক্ষ করা গেছে। তবে প্রত্যাবাসন শুরু নিয়ে এখনও সংশয় রয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে প্রত্যাবাসন। সাক্ষাতকার নেওয়া ২৩৫টি পরিবারের যারা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী হবেন তাদের বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে। রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বসহ তিনটি দাবি পূরণ না হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না বলে আগে থেকে বলে আসছে।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, সরকারের সিদ্বান্ত কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। তবে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হলে বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে তিনশো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে মিয়ানমারও এসব রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচটি বাস ও তাদের মালামাল পরিবহনের জন্য তিনটি ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত জুলাই মাসের শেষ দিকে মিয়ানমার উচ্চ পর্যায়ের ডেলিগেশন টিম উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন। টিমের সদস্যরা দু’দিনে কয়েক দফায় মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় অংশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে অনুরোধ জানান। সে সময় সফরকারী টিমের সঙ্গে যুক্ত হন আসিয়ানের পাঁচ সদস্যর প্রতিনিধিদল।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। এজন্য স্থানীয়রা চরম ক্ষুব্ধ। তাই যে কোনো মূল্যে প্রত্যাবাসন শুরু করা দরকার। তবে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তাদের রাজি করানো কঠিন হবে।

২২ আগস্ট সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত জুড়ে বিজিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রত্যাবাসনের একটি পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন হয় কি তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

Exit mobile version