parbattanews

সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি করছেন প্রশাসন। কেন্দ্রটি ঘুমধুম সীমান্তের পাশে হওয়ায় মিয়ানমার বিদ্রোহী-জান্তা সরকারের মধ্যকার গোলাগুলি হলেই কেঁপে উঠে স্কুল আঙ্গিনাসহ পুরো এলাকা।

স্কুল এলাকায় কয়েকটি মর্টার শেল ও ২টি রকেট লাঞ্চার এসে পড়ে স্কুলের পাশে। এর মধ্যে ১টি রকেট লাঞ্চার পড়ে বাংলাদেশি ২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় এক শিশু। আরেকটা অবিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চার এসে পড়ে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নয়াপাড়ায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সপ্তাহ দেড়েক ধরে গোলাগুলিতে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট উত্তপ্ত ছিল। এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ধোঁয়াশায় পড়ে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকরা ।

আর ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্বদক্ষিণের সীমান্ত ঘেঁষা ৩১ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসনকে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর করার জন্য নতুন কেন্দ্র খোঁজার নির্দেশ দেন।

কেন্দ্র সচিব ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর এ প্রতিবেদনে বলেন, গত রোববার ও সোমবার প্রচণ্ড গোলাগুলিতে রকেট লাঞ্চার ও মর্টারশেল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে পড়ে।

এ পরিস্থিতিতে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সরকারি ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন । তবে গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বান্দরবান জেলা প্রশাসন নতুন কেন্দ্রে পরীক্ষা না নিয়ে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তবে পরীক্ষাকালীন সময়ে সমস্যা হলে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা মোট-৫০২ জন। আর এই কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়-পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-১৬৪ জন। কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়-২৩৩ জন আর বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-১০৫ জন।

Exit mobile version