parbattanews

সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবিকে সহযোগিতার আহ্বান

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালান রোধে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন ১১-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ১১-বিজিবির কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধে ১১-বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে শীত ও ঘনকুয়াতেও দেশ মাতৃকার টানে এসব করছে বিজিবি। যার ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটালিয়ন সদর, তীরেরডিভা, বিজিবি ক্যাম্প, জারুলিয়াছড়ি, ভালুখাইয়া, আশারতলী এবং ফুলতলী বিওপির জোয়ানরা ১৬০টি বার্মিজ গরু জব্দ করে। যার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এর আগে গত ৩ মাসে জব্দ করা হয়েছে ৩৬৯টি গবাদি পশু। যার মূল্য ৪ কোটি টাকা।

তিনি আরো জানান, সীমান্তে সব ধরনের চোরাচালান রোধে ১১-বিজিবি কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ১১-বিজিবির অধিনায়ক বলেন, দুর্গম সীমান্তে শুধু বিজিবির একার পক্ষে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে সাংবাদিক জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা দরকার। সবাই রাষ্ট্রের এক একজন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে পারে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি, রামু ও লামা এলাকায় অনেক বাজারে বার্মিজ গরু ক্রয়-বিক্রয় হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কাছের বাজারে চোরাচালানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ থাকলে চোরাচালান বন্ধ হবে না, বরং বাড়বে। তাই, বাজারের আশপাশের পয়েন্ট ঠিক করে দূরত্ব বুঝে বিজিবি অস্থায়ী চৌকি বসানোর পরিকল্পনা করছে বিজিবি ।

এছাড়া এসব কাজে যারা জড়িত তাদের তালিকসহ আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বিজিবি। উপজেলা প্রশাসনও একসাথে কাজ করছে। বিশেষ করে গরু পাচার রোধে গরু বিক্রির রশিদে ইজারাদারের পাশাপাশি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকতে হবে বলেও তিনি জানান।

সংবাদ সম্মলনে জোন জেসিও শাহ আলম, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, আহ্বায়ক আবদুল হামিদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলম কাজলসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version