রামগড়ে বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সীমান্তে বেড়া তৈরি ও ব্লক স্থাপন কাজ আপাতত বন্ধ

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড় ও মাটিরাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র বাধায় বন্ধ থাকা ফেনী নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক স্থাপন এবং সীমান্তের ওপারে ১৫০ গজের মধ্যে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া না করতে সন্মত হয়েছে বিজিবি বিএসএফ।

রবিবার (৩১ জানুয়ারি) রামগড় সীমান্তে দুদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গুইমারার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জিএইচএম সেলিম হাসানের নেতৃত্বে বিজিবি প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন রামগড়ের ৪৩ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ আনোয়ারুল মাযাহার, মাটিরাঙ্গার পলাশপুরের ৪০ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং বিএসএফের প্রতিনিধিত্ব করেন উদয়পুরের ডিআইজি মোঃ জামিল আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে মাটিরাঙ্গা ও রামগড় সীমান্তে ফেনী নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক স্থাপনের কাজ বিএসএফ বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার বিষয় উত্থাপন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিএসএফের তরফে বলা হয়, দুদেশের যৌথ নদী কমিশনের (জে আর সি) দেয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা শেষ হওয়ায় তারা কাজে বাধা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন জে আর সি পুনরায় প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ালে তারা কোন আপত্তি বা বাধা দেবে না।

অন্যদিকে, বিএসএফ রামগড় ও মাটিরাঙ্গা সীমান্তের ওপারে একাধিক স্থানে দেড়শ গজের ভিতরে কাঁটাতাঁরের বেড়া নির্মাণের কাজ করতে বাংলাদেশের অনুমতি চাইলে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, বেড়া তৈরির নকশার(ডিজাইন) ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুপক্ষই উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া সীমান্তে কেউ কাউকে ব্লক স্থাপন ও কাটাতাঁরের বেড়া তৈরির কাজ করতে না দেয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থাকেন। এ অবস্থায় উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ সীমান্তে কাজ বন্ধ রাখতে সম্মত হয়।

বৈঠক শেষে রামগড়ের ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অধিনায়ক) লে.কর্নেল মোঃ আনোয়ারুল মাযাহার জানান, আমরা যেমন তাদেরকে দেড় গজের মধ্যে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া বেড়া নির্মাণের কাজ করতে রাজী হয়নি তেমনি ওরাও জেআরসির অনুমতির আগে ফেনী নদীতে আমাদের ব্লক স্থাপনের কাজ না করতে বলেছে। তিনি বলেন, দুপক্ষই এখন উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবে ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন