বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারারের ছোঁড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত ও সাত ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনার পর সেখানে এখন আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে। এর আগে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশির পা উড়ে যায়। এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয়দের যাতায়াতও সীমিত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া একটি কেন্দ্রের ৪৯৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গাড়িতে করে কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস। তিনি জানান, আতঙ্কের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর মানসিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তায় সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে। সেটি বিস্ফোরণে সেখানে বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন।