parbattanews

সুইজারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে কোয়ার্টারে পর্তুগাল

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পুরো পরিবার এখন কাতারের দোহায়। কাতারের প্রিন্সের সঙ্গে বিশেষ ডিনারও হয়েছে। বিশ্বকাপে শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ার পর বেশ হালকা মেজাজে রোনালদো ও পর্তুগাল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে যেতে হয়েছে তাদের। এর মাঝে গুঞ্জন চলছে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে মোটা অঙ্কে যোগ দিতে পারেন সিআরসেভেন। মার্কা এমন খবর ছাপিয়েছে। ইউনাইটেডের পাট তো চুকে-বুকে গেছে। এসব কিছুর পর মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন। বিশ্বকাপের শেষ নব্বই মিনিটও হয়ে যেতে পারে ক্রিস্টিয়ানোর। জীবন চলবে জীবনের নিয়মে। কিন্তু বিশ্বকাপ আর জীবনে আসবে না!

পর্তুগালের দলটি বেশ ভাল শুরু করেছে বিশ্বকাপে। তারা ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয়। সেটাকে আত্মবিশ্বাসী শুরু বলতে হবে। উরুগুয়েকেও তারা ২-০ গোলে হারায়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত ছিল। সেজন্যই কি গা ছেড়ে দিয়ে খেলেছে পর্তুগাল? না দক্ষিণ কোরিয়া দুরন্ত ফুটবল খেলে যোগ্যতা দিয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে। সেটা আলাদা কথা অবশ্য। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সে হার পর্তুগালকে মানসিকভাবে কিছু পিছিয়ে রাখবে।

সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে সর্বশেষ পর্তুগালের দেখা হয়েছে চলতি বছরের জুনে। আর উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে ১-০ গোলে পর্তুগাল হেরে যায়। অবশ্য ২৫ বার দেখা হয়েছে দুদলের। ১১টি সুইজারল্যান্ড ও ৯টিতে পর্তুগাল জিতেছে। ৫টি ম্যাচ হয়েছে অবশ্য ড্র।

রোনালদো না এ বিশ্বকাপে মাত্র ১টি গোল করেছেন। আর সেটাও পেনাল্টি থেকে। গত দুই ম্যাচে তিনি প্রচুর গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। উরুগুয়ের ম্যাচে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলটি নিয়ে ভাল ঝামেলা হয়েছে। রোনালদো চুল লেগেছিল বলে। রেফারি গোলটি তবুও ব্রুনোকে দিয়ে দেন। এটা নিয়ে তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গরম। সব মিলিয়ে সময় ভাল যাচ্ছে না রোনালদোর। আর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া রোনালদো আবার ভয়ঙ্করও! তবে ৩৭ বছর বয়সী সেই রোনালদোর ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। পর্তুগালের তরুণদের এখন সে দায়িত্ব নিতে হবে। দোহায় এই ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগাল হয়তো শিরোপার দাবিদার নয়। সুইজারল্যান্ড বাধা টপকে যেতে পারলে অবশ্যই সে ব্যাপারে কথা উঠে আসবে।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্তুগাল বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলোয়। সেবার উরুগুয়ের কাছে হারতে হয় তাদের। এবার তারা সুইজারল্যান্ডে আটকে থাকতে চাইবে না। সুইজারল্যান্ডের শেরডেন শাকিরিরাও তো চলে যেতে আসেনি। ফলে অবিশ্বাস্য অল ইউরোপিয়ান লড়াই হতে যাচ্ছে।

Exit mobile version