parbattanews

সুন্দরী প্রতিযোগিতার আদি ইতিহাস

সুন্দরী প্রতিযোগিতা

বিনোদন ডেস্ক:

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সুন্দরী প্রতিযোগিতা। এই সুন্দরী প্রতিযোগিতারও রয়েছে একটি সুন্দর ইতিহাস। পার্বত্যনিউজডটকম-এর পাঠকদের জন্যে আজ থাকলো সব ধরনের সুন্দরী প্রতিযোগিতার আসল ইতিহাস-

প্রথম সুন্দরী প্রতিযোগিতা

ইতিহাসের প্রথম সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। প্রাচীন গ্রিসে করিন্থের জনগণের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল নতুন শহর ব্যাসিলিসের উদ্বোধন উপলক্ষে করিন্থের শাসক কিপসেলাস এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন। সে সময় এই প্রতিযোগিতাটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। করিন্থের জনগণের কাছে প্রতিযোগিতাটি জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ১ম সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফলাফল ছিল যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ সে প্রতিযোগিতায় করিন্থের শাসক কিপসেলাসের স্ত্রীও প্রতিযোগী ছিলেন। বিচারকরা পক্ষপাতমূলক বিচার করে কিপসেলাসের স্ত্রীকেই সেরা সুন্দরী নির্বাচিত করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুন্দরী প্রতিযোগিতা:

এরপরের ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুন্দরী প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৮৫৪ সালে। কিন্তু সে সময়ের সরকারের রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে তখন খুব বেশি সুবিধা করতে পারে নি প্রতিযোগিতাটি। বাঁধার মুখে প্রতিযোগিতাটি একসময় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কতৃপক্ষ। এরপর প্রতিযোগিতাটির ধরন একটু পরিবর্তন করে ‘ফটো সুন্দরী প্রতিযোগিতা’ নামে নতুন এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এভাবে কিছুদিন চলার পর ১৯২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একেবারে খোলনলচে পাল্টে গিয়ে আধুনিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার শুরু হয়। তবে প্রথম দিকে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় প্রতিযোগিতাটি। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কর্মরত সুন্দরী নারী নির্বাচন করার জন্য প্রতিযোগিতার আরম্ভ হয়।

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা:

এরপর আয়োজকরা বর্তমান ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার মতো করে সংক্ষিপ্তভাবে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ১৯৫১ সালে। এবারও রক্ষণশীল সমাজের বাঁধা। এই প্রতিযোগিতায় যিনি বিজয়ী হন, রক্ষণশীল সমাজ তাকে প্রত্যাখান করেন। তাই বলে থেমে থাকে নি সুন্দরী প্রতিযোগিতার পথচলা। এরপর ১৯৫২ সালে আয়োজন করা হয় ‘মিস ইউনিভার্স’ ও ‘মিস ইউএসএ’ প্রতিযোগিতার। ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার সেরা সুন্দরীর মুকুট জয় করেন ফিনল্যান্ডের ‘আরসি কুন্সিলা’। ১৯৫৫ সালে এসে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতাটি টেলিভিশনে প্রচার করা শুরু হয়। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ‘প্যাসিফিক মিলস’ নামে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ক্লথিং কোম্পানি এই প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতো। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ডোনাল্ড ট্র‌াম্প’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০০১ সাল পর্যন্ত তারা এই প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে। বর্তমানে ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন’ এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছে।

প্রথমদিকে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন আমেরিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৭১ সালের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতাটি। মিস ইউনিভার্স মানেই সুন্দরের প্রাধান্য নয় অনেক সময় দেখা যায় কৃষ্ণবর্ণের কোনো নারী ‘মিস ইউনিভার্স’ নির্বাচিত হলে অনেকেই ভ্রু-কুচকে ওঠেন। তাদের ধারণা এই নারী কিভাবে ‘মিস ইউনিভার্স’ হয়। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতাটিতে শুধুমাত্র সুন্দরের বিচার করা হয় না। এখানে শারীরিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি নারীর ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, সাহস, চতুরতা, মানসিকতা, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি মূল্যায়ন করা হয়।

অংশগ্রহণ করার নিয়ম

যে কেউ চাইলেই ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। নিজ দেশে আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ীরাই শুধুমাত্র এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিবছর ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতাটি আরম্ভ হওয়ার আগে বিভিন্ন দেশের কাছে নির্বাচিত সুন্দরীর তালিকা চাওয়া হয়। তবে যদি কোনো দেশ জাতীয়ভাবে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন না করে তবে ‘মিস ইউনিভার্স’ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেই দেশ থেকে প্রার্থী নির্বাচন করে। ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হয়। বিভিন্ন রাউন্ড শেষে সেরা ৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেমিফাইনাল রাউন্ড। এখান থেকে সেরা তিনজন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয়।

‘মিস ইউনিভার্স’ নির্বাচিত হওয়ার পর যিনি ‘মিস ইউনিভার্স’ নির্বাচিত হন তাকে একটি কোম্পানির হয়ে কাজ করার জন্য চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। যদি চুক্তিপত্র অনুযায়ী কাজ না করে তাহলে ‘মিস ইউনিভার্স’ মুকুটটি কেড়ে নেওয়া হয়। যেমন – ২০০২ সালে রাশিয়ার ‘আক্সানা সানজুয়ান’ এর মুকুটটি কেড়ে নেওয়া হয় চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করার জন্য। মিস ইউনিভার্স ও মিস ওয়ার্ল্ড এক প্রতিযোগিতা নয় মিস ইউনিভার্স ও মিস ওয়ার্ল্ড এই প্রতিযোগিতা দুটিকে নিয়ে অনেকের মধ্যে মিশ্র ধারণা রয়েছে। তারা ভাবেন এই প্রতিযোগিতা দুটো একই। কিন্তু না। দুটো প্রতিযোগিতার বাংলা অর্থ ‘বিশ্বসুন্দরী’ হলেও প্রতিযোগিতা দুটো ভিন্ন ভিন্ন। দুটো প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ভিন্ন ভিন্ন দুটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন’, এটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ‘মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন, এটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সম্মানের দিক থেকে মিস ওয়ার্ল্ডের চেয়ে অনেকাংশেই এগিয়ে মিস ইউনিভার্স। প্রতিযোগিতা ও সম্মান ভিন্ন হলেও ধরনের দিক থেকে দুটো প্রায় একই।

মিস মুসলিম ওয়ার্ল্ড

জাকার্তায় ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘মিস মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা৷ ১৯ জন ফাইনালিস্টের দেহ গলা পর্যন্ত পোশাকে আবৃত ছিল আর মাথায় ছিল স্কার্ফ৷ ইসলাম ও কোরান সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রতিযোগীদের৷ নাইজেরিয়ার ২১ বছর বয়সি ওবাবিয়ি আয়েশা আজিবোলা তাতে প্রথম হন৷ মিস বিগ এরাবিয়ান বিউটি বিভিন্ন আরব দেশের সুন্দরীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়। স্থূল শরীরের আরব তরুণীরাই কেবল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভোটের ভিত্তিতে সেরা প্রতিযোগী নির্বাচিত করা হয়। পোশাকের ওপর, স্যুইমসুটসহ হাঁটার ওপর, সান্ধ্যকালীন পোশাক—এ তিনটি ক্যাটাগরিতে ২০ ভাগ করে মোট ৬০ ভাগ ভোট নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ৪০ ভাগ ভোট নেওয়া হয় বিচারক প্যানেল থেকে। লেবাননের লেবানিজ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (এলবিসি) উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

মিস ল্যান্ডমাইন

নরওয়ের মোর্টেন ট্রাভিকের উদ্যোগে ল্যান্ডমাইনের আঘাতের শিকারদের নিয়ে ‘মিস ল্যান্ডমাইন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ কম্বোডিয়া আর  অ্যাঙ্গেলা অঅ্যযাঙ্গোলা থেকে প্রতিযোগীরা তাতে অংশ নিয়েছিল৷ কিন্তু ২০০৯ সালে কম্বোডিয়া এ ধরণের প্রতিযোগিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ কারণ সে দেশের সরকার মনে করে এটা আহতদের অসম্মান করা শামিল৷

মিস অ্যাটম

পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে সাধারণ মানুষের মনের ভয় দূর করতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাশিয়াতে ‘মিস অ্যাটম’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ পরমাণু কেন্দ্রে কর্তব্যরত কর্মী ও পরমাণু বিষয় নিয়ে পড়ুয়ারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন৷

মিস হোমলেস

গৃহহীনদের সমস্যা সম্পর্কে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দাতব্য সংস্থা আর্টেফিক্সের উদ্যোগে ‘মিস হোমলেস’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে৷ এতে যিনি বিজয়ী হতেন তাঁকে এক বছর  বিনা ভাড়ায় কোথাও থাকতে দেয়া হতো৷

মিস জাম্বো কুইন

হাতি রক্ষায় থাইল্যান্ডে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা৷ এতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের ওজন হতে হয় কমপক্ষে ৮০ কেজি।

ডাইনীদের সুন্দরী প্রতিযোগিতা

অবাক হওয়ার মতোই নাম। তবে ডাইনি বলতে যা বোঝায় এ প্রতিযোগিতায় এটি সেই অর্থে ব্যবহ্নত হয়নি। এ প্রতিযোগিতা হলো ত্রিশোর্ধ নারীদের সুন্দরী প্রতিযোগিতা। গাছে চেরি ব্লসম ফুটলেই, বসন্তের শুরুতে জাপানে শুরু হয় বিশেষ এক সুন্দরী প্রতিযোগিতা যার নাম ‘ন্যাশনাল বিউটিফুল উইচ’। এই প্রতিযোগিতায় মঞ্চে দেখা যায় সেসব নারীদের যারা স্রেফ গৃহবধূ। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা থাকে অন্য জায়গায়। তাদেরকে মডেলদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মঞ্চে হাঁটতে হয়। প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য হলো ‘দেখ কেমন লাগে’।

মাদকসেবী ও দাগী আসামিদের সুন্দরী প্রতিযোগিতা

কলম্বিয়ার করা কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাই অপরাধী। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, চোর আর হত্যাকারীর আবাসস্থল বলে পরিচিত কলম্বিয়ার এল বুয়েন প্যাস্টর উইমেন’স প্রিজন প্রতি বছরই সেখানকার কারাবন্দিদের জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। বন্দিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই প্রতি বছর এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ছাগলের সুন্দরী প্রতিযোগিতা

২০১১ সালের ৫ জুলাই লিথুনিয়ার রামিগালা শহরে আয়োজন করা হয়েছিল ‘ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা’। যে প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী ছিল এক পাল ছাগল। যাদের মোট সংখ্যা ছিল ১৩টি। রামিগালা শহর কর্তৃপক্ষ এই ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রতিযোগিতায় ছাগলদের সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক অবয়বকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, লিথুনিয়ার রামিগালা শহরটি ছাগলের জন্য বিখ্যাত।

মানুষের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নাম থাকে। কিন্তু ছাগলদের প্রতিযোগিতায় তাদের কি বলে ডাকা হবে! তাই প্রত্যেক ছাগলের মালিক তার প্রতিযোগীর জন্য রেখেছিলেন সুন্দর একটি নাম। প্রত্যেক মালিক তাদের ছাগলকে প্রতিযোগিতার স্থলে নিয়ে এসেছিলেন সুন্দর পরিপাটি করে সাজিয়ে। কেউ কেউ আবার তাদের ছাগলের মাথায় জড়িয়ে এনেছিলেন বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের মুকুট।

উটের সুন্দরী প্রতিযোগিতা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যতিক্রমধর্মী এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার নাম `বেইনুনাহ`। বেইনুনাহ উৎসব মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিযোগীদের জন্য। উটের সুন্দরী প্রতিযোগিতার সব চেয়ে বড় উৎসব হল ‌‌`আল দাফরা` উৎসব। দাফরা উৎসবে প্রায় ২৫০০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে থাকে। বেইনুনাহ প্রতিযোগিতাই ৪ মিলিয়ন দিরহামেরও বেশি মূল্যমানের পুরস্কার থাকে। গবাদি পশুদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে এটা সব চেয়ে মজার ও উপভোগের। এই প্রতিযোগিতা আকারে ছোট হওয়াটা প্রতিযোগীদের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। প্রতিযোগীদের তাদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা ও বয়স বিবেচনায় বিজয়ী করা হয়। আর এভাবেই মালিকরা সব চেয়ে উন্নত উট বাছাই করে কিনেন এবং ভাল মানের একটি পাল তৈরি করেন। এখানে দুইটি বিশেষ প্রজাতির উট প্রতিযোগিতা করে; মধু রঙের আসায়েল প্রজাতি এবং ঘন কালো দুধেল রঙের মাজাহিম প্রজাতি। যেগুলো আল ঘারবিয়া ও সউদি আরবের মরুভুমিতে পাওয়া যায়। উটের এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অসুস্থ কিংবা ড্রাগ নেওয়া উট নামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

Exit mobile version