parbattanews

কক্সবাজারে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১ জুন) জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর চত্ত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, সুস্থ থাকতে দুধের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, দুগ্ধ খাবারের দাম বেড়েছে ঠিক। কিন্তু সেই অনুপাতে দুধের দাম বাড়ানো হয়নি। যে কারণে কক্সবাজারের অনেক খামারী, ব্যবসায়ী পোষাতে পারছে না। দেশের যে সমস্ত জায়গায় সফল দুগ্ধজাত প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো ভিজিট করে আসতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা কাজ করব।

তিনি বলেন, দুধের উপকারিতা সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে হবে।

খামারীদের উদ্দেশ্যে এমপি কমল বলেন, গরু মোটা-তাজা করতে গিয়ে যেন গুণাগুণ নষ্ট না করি। শুধু ব্যবসা নয়, স্বাস্থ্যের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। দুধে যেন ভেজাল না মেশান। একবার ধরা পড়লে ব্যবসা শেষ। দুগ্ধ খাবারের দুর্নাম ছড়াবে। ভোক্তা ও ব্যবসা দুটিই দেখা দরকার। “পুষ্টি, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে টেকসই দুগ্ধ শিল্প” প্রতিপাদ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর চত্বরে অনুষ্ঠানে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজারে ফিড মিল ও প্রিজারভেশন নেই। এটি বড় সমস্যা। তা নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক ডেকে আলোচনা করা দরকার।

তিনি বলেন, কক্সবাজারকে একটি পাইলট প্রকল্পে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। একটি ফিড মিলের ব্যবস্থা করা হবে। খামারিদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান সাইমুম সরওয়ার কমল।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ভেটিনারি অফিসার সাহাব উদ্দিন।

সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদের পরিকল্পনা, উন্নয়ন, অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

তথ্যে জানানো হয়, শরীরে প্রয়োজনীয় সব উপাদান দুধে মিলে। একজন সুস্থ মানুষকে দৈনিক অন্তত ২৫০ এমএল দুধ পান করা উচিত।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খামারীরা অংশগ্রহণ করে। উদ্যোক্তা, খামারিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আবুল কালাম ও কাউছার জাহান। তারা দুগ্ধ খাবারের দাম বৃদ্ধি জনিত কারণে খামারিদের দুঃখের কথা উপস্থাপন করেন।

আলোচনা সভার আগে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।

Exit mobile version