parbattanews

‘সেতু’র স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে মাটিরাঙ্গার  হরিধনমগ পাড়ার জনগনের

khagrachari-bridge-news-pic-1-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অবশেষে সেতু নির্মান হচ্ছে হরিধনমগ পাড়াসহ পাঁচ পাহাড়ী গ্রামে যাওয়ার রাস্তার ছড়ার উপর। সেতুটি নির্মানের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে হরিধনমগ পাড়া সহ পাঁচ পাহাড়ী গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জনগনের জীবনযাত্রা। বর্ষাকালে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবেনা স্কুলগামী শিক্ষার্থী কিংবা হাটবাজারগামী মানুষের। দীর্ঘ দিনের দাবী বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ‘স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে মাটিরাঙ্গার হরিধনমগ পাড়ার জনগনের’।

পার্বত্যনিউজসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে ‘একটি সেতু পাল্টে দিতে পারে ৫ পাহাড়ী গ্রামের জীবনযাত্রা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পাঁচ মাসের মাথায় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নে হরিধনমগ পাড়াসহ পাঁচ গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন করতে আলী মিয়ার দোকানের সামনে ছড়ার উপর স্বপ্নের সেতুটি নির্মিত হতে যাচ্ছে।

হরিধনমগ পাড়া যাওয়ার রাস্তায় সেতুটি নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান বলেন, স্থানীয় জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।  ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’ সেতুটির নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান তিনি। আগামী মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে জানিয়ে বিএম মশিউর রহমান বলেন, পার্বত্যনিউজসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরেই জনগুরুত্বপূর্ন এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মুখ দেখছে।

এদিকে সেতুটি নির্মাণের খবরে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামছুল হক বলেন, সেতুটি নির্মানের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পাঁচ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর বাস্তবায়ন হলো। তিনি সেতুটি নির্মান কাজ শেষ হলে  জনবিচ্ছিন্ন হরিধনমগ পাড়াসহ পাঁচ পাহাড়ী গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের লাঘব হবে।

হরিধন মগপাড়ার বাসিন্দা পাউলা মারমা বলেন, নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মানের পর নানা নাটকীয়তা শেষে সেতু নির্মানের খবর আমাদের জন্য আনন্দের। সেতু নির্মিত হলে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। আমাদের কষ্টের দিন শেষ হবে।

মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আহসান উল্যাহ সেতুটি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সেতুটি নির্মান হলে এ জনপদের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের লাঘব হবে।

Exit mobile version