নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সেতু দ্বিতীয়বার বিচ্ছিন্ন: সড়ক বিভাগের অবহেলার অভিযোগ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সংযোগ সেতুটি দ্বিতীয়বারের মতো ধ্বসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো ২ লক্ষাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ট্রাক চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান চট্টগ্রাম-ট-১১-৯৫৯০ নং গাড়িটি গর্জনিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ানের মালামাল আনছিল।
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি খালের স্টীল ব্রীজটির উপর দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে পণ্যবোঝাই ট্রাকটি পার হওয়ার সময় ব্রিজটির পুর্ব পাশের উত্তরাংশে ধ্বসে পড়ে। এসময় ব্রিজে থাকা ট্রাকটি ব্রিজের সাথে নিচে পড়ে গেলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ভোরে এই দূর্ঘটনা হওয়ায় ব্রিজে তেমন পরিবহণ বা মানুষ ছিল না। ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় মানুষ।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা ও নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র মামুন জানান, ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও বাইশারীর মানুষের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়বে।
জানা যায়, এই স্টীল ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় ভারি যানবাহন চলাচল করায় ব্রিজটপ সংস্কারের উপযোগী হয়ে পড়েছিল।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন এই ব্রিজটি ২০১৪সনের ২৩জুলাই একইভাবে ধ্বসে গেলে দীর্ঘদিন যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
পরবর্তী সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাহার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জোড়াতালিতে ব্রিজ সংস্কার করেছিল।
এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবিও জনস্বার্থে ব্রিজটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রিজটির স্থায়ী উন্নয়নে অবহেলা ও হাফেলতি ছিল বেশী।
এদিকে ২০১৪সালে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর বিজিবির পক্ষ থেকে ভারি যানবাহন চলাচল না করার জন্য নির্দেশনা ছিল।
বিকল্প রুপনগর সড়ক হয়ে বেশ কিছুদিন চলাচল করতো ভারী যানযাহন। কিন্তু অসাধু কাঠ চোর ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে আইন অমান্য করে অতিরিক্ত পণ্যবাহি যানবাহন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।