বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য সোমবার(২৪ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এজন্য কক্সবাজার জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ৩০ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৪৮ প্লাটুন বিজিবি, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ ও ২ কোম্পানি র্যাব। তবে র্যাব এর এই ২ কোম্পানি কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের দুইটি আসনের দায়িত্বে থাকবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে টহল দেয়া শুরু করার সাথে সাথে বদলে যেতে শুরু করেছে কক্সবাজারের মাঠ চিত্র। সাহসী হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। পালাতে শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ ছাড়াও আনাসার ও গ্রাম পুলিশ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে।
কক্সবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে ২৮ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৪টি পৌরসভা ও ৭১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪ জন।
এরমধ্যে নারী ভোটার ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩১ জন।
জেলা রিটার্নিং অফিস সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ আসনের জন্য ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে ৩২ জন কক্সবাজারে আগে থেকে কর্মরত ছিলেন। বাকী ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়েছে।
চকরিয়া পেকুয়া আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১৩ প্লাটুন ও ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনবাহিনী ৫ প্লাটুন, নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ১১ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরও ২ প্লাটুন, পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
কক্সবাজার সদর রামু আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরও ৪ প্লাটুন, পুলিশের ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
উখিয়া টেকনাফ আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে সেনাবাহিনী ৮ প্লাটুন , নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ৬ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরও ১ প্লাটুন, পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ টি আসনে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের ২ কোম্পানির বাহিনী সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। সেই সাথে তারা চট্টগ্রামের দুইটি আসনেও দায়িত্বে থাকবেন।