সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরছে

fec-image

বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে থাকা পর্যটকরা ফিরছে। রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে  কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী। সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে যায় জাহাজটি।  আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে ট্রলার ও জাহাজ আজ থেকে শুরু হয়।

সকাল ১০টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রলারে করে স্থানীয় যাত্রীদের সাথে দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে। সেন্টমার্টিন যাত্রীবাহী ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিয়ে পাঁচটি ট্রলার দুপুরেই টেকনাফে পৌঁছে।

উপজেলা প্রশাসন অনুমতি দেয়ায় আজ থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।  সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রথমে সমুদ্র উপকুলকে ৩ নম্বর পরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করলে গত ২১ অক্টোবর থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফের সাাথে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়ে। এদিকে, কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী আজ সকাল থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে চলাচল শুরু করেছে।

পর্যটকবাহি জাহাজ কর্ণফুলি এক্সপ্রেস রবিবার সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছাড়ে। দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে বিকাল ৪ টায় সেন্টমার্টিন থেকে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ কক্সবাজার ঘাটে পৌছার কথা রয়েছে।

কর্ণফুলি এক্সপ্রেসের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কর্ণফুলি জাহাজ। আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে বিকেল ৪টায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরবে। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ কক্সবাজার ঘাটে জাহাজ ভিড়বে।

তিনি জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে কর্ণফুলী জাহাজের যাত্রী ছিল ৩৫০ জন। তারা সকলেই আজ জাহাজে করে চলে আসবে। আটকে পড়া অন্য যাত্রীরা চাইলে জাহাজে করে চলে আসতে পারবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। তাই সেখানে আটকে পড়ে ৫ শতাধিক পর্যটক। আটকেপড়া পর্যটকদের প্রশাসনিক তদারকিতে নিরাপদে রাখা হয়। এখন সংকেত উঠে গেছে। জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় আজ দুপুরে দুুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরে এসেছে। বাকিরাও পর্যায়ক্রমে জাহাজে করে ফিরে আসছে।

আবহাওয়া অফিসের হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়ার পর বুধবার থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে সকল ধরণের ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ কারণে বুধবার বা তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়ে। বুধবার হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের কক্সবাজার ফিরে যেতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ পর্যটক স্বেচ্ছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক, সেন্টমার্টিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন