parbattanews

সেন্টমার্টিনে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে নৌবাহিনীর ‘সমুদ্র জয়’

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনদ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’।

মঙ্গলবার (১৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বিতরণ ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বিতরণকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টের মিজানুর রহমান, লে. কমান্ডার ছৈয়দ তৈয়মুর পাশা, সার্জেন্ট লে. সাকিল ও লে. ইমাম হাসিব।

এ সময় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নৌবাহিনী চাল, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা দিতে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পও স্থাপন করেছেন। সেখান থেকে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমদের বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা যথেষ্ট পরিমাণ ঔষধ নিয়ে এসেছি আমাদের মেডিকেল অফিসারও রয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সেন্টমার্টিনদ্বীপে প্রায় সাড়ে ৯০০ কাঁচা ঘরবাড়ি ও ৩ শতাধিক টিনের আধাপাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ৭৫০টি কাঁচা ও ৩৫-৪০টি টিনের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। পুরো দ্বীপে চার শতাধিক নারকেলগাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার গাছগাছালি ও কয়েক কিলোমিটার রাস্তা।

উল্লেখ্য, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে তছনছ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রায় আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপে রবিবার (১৪ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে অন্তত হাজারেরও অধিক কাঁচা ও টিনের আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে অন্তত চার শতাধিক নারকেল গাছসহ অন্তত কয়েক হাজার গাছগাছালির ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপটির দক্ষিণ পাড়া, উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্ব দিকের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

Exit mobile version