parbattanews

সেন্টমার্টিনে ধরা পড়লো ৫৭ কেজির দুটি পোয়া মাছ, দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা!

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে জেলে আবদুল গনির বোটে ধরা পড়েছে বড় সাইজের দুটি লাল পোয়া মাছ। সেই মাছ দুটির দাম হাঁকিয়েছে ১৫ লাখ টাকা। যদিও সেখানকার ব্যবসায়ীরা ১০ লাখ টাকায় মাছ দুটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু জেলে আবদুল গনি আরো চড়া দামে বিক্রির আশায় মাছ দুটি কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসছে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিন উপকূলে জেলেদের জালে পোয়া মাছটি ধরা পড়ে।

জেলেরা জানান, সোমবার রাতে দ্বীপের বাসিন্দা জেলে আবদুল গণির নেতৃত্বে পাচঁ জেলে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকারে যান। পরে মঙ্গলবার ভোরে দ্বীপে পশ্চিম পাড়াস্থল সাগরে জাল তুললে দুটি বড় পোয়া মাছ পাওয়া যায়। মাছ দুটি নিয়ে দ্বীপের জেটি ঘাটে ফিরে আসার পর উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।

টেকনাফ বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল জানান, ‘সেন্টমার্টিনের জেলেদের জালে ধরা পড়া ৫৭ কেজি ওজনের পোয়া মাছ দুটি বেশি দামের বিক্রির জন্য কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

দ্বীপের ইউপি সদস্য ফয়েজুল ইসলাম জানান, জেলে আবদুল গণির জালে দুটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। মাছ দুটির দাম স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ টাকায় হাঁকান। কিন্তু বিক্রি না করে মাছ দুটি বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশে কক্সবাজার নিয়ে যান জেলে।

ইউপি সদস্য আরও জানান, জেলে গণির জালে এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে, পরে সেটি বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। এরপর ২০২০ এর নভেম্বর মাসে এসে আবারো গণি’র জালে পোয়া মাছ আটকা পড়ে, সেটি বিক্রি হয় ৬ লাখ টাকায়। নভেম্বর মাসে এসে আবারও জোড়া পোয়া মাছ ধরা পড়ল তার জালে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, পোয়া মাছের পেটের ভেতর ‘পদনা’ নামে বিশেষ অংশ থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটাকে ‘ফুলা’ বলে, যা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ‘পদনা’ শুকিয়ে ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে বিদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়। ফলে পোয়া মাছের দাম ও চাহিদা বেশি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা মো. বদরুজ্জামান জানান, এই ধরনের পোয়া মাছ সহজে পাওয়া যায়না। এই মাছ সাগরের গভীরে থাকে। মাঝেমধ্যে ভাগ্যক্রমে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। তিনি আরো বলেন, “লাল পোয়া মাছের বায়ুথলি সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বায়ুথলি নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। ফলে লালপোয়া মাছের দাম অনেক বেশি।”

Exit mobile version