সেন্টমার্টিনে ৪শ’র বেশি পর্যটক আটকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) পর্যটকরা সেখান থেকে ফিরতে পারেননি। সেন্টমার্টিনে এখন চার শতাধিক পর্যটক রয়েছেন। এর মধ্যে গত বুধবার কক্সবাজার থেকে ‘আমার বাজার’ নামে ৩০০ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের জন্য দ্বীপে ভ্রমণে যায়। পর্যটকবাহী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌঁছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে আটকা পড়া চার শতাধিকের বেশি পর্যটক আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা যেতে পারেননি। কিন্তু গতকাল (বুধবার) পর্যটকদের মাইকিং করে দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অনেকে কথা শোনেননি।’
তিনি জানান, হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
দ্বীপের বাসিন্দা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘সমুদ্র উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত বুধবার ৩০০ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের ভ্রমণে আসেন। তবে পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে তারা ফিরে যাবেন। তাছাড়া সকাল থেকে দ্বীপে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।’
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেলেও টেকনাফ থেকে কোনও জাহাজ চলাচলের এখনো অনুমতি পায়নি।
