parbattanews

সোনাদিয়া চ্যানেলে ৭ ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি, আহত ২৪

মহেশখালী প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে মহেশখালী সোনাদিয়া চ্যানেলে জলদস্যু বাহিনীর গণডাকাতের শিকার হয়েছে মহেশখালীর মাছ ধরার ৭টি ফিশিং ট্রলার। এঘটনায় ২৪জন জেলে আহত হয়েছে।

রবিবার(৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় সাগর থেকে কূলে ফেরার পথে সোনাদিয়া চ্যানেলে এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনা নিয়ে স্থানীয় জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মহেশখালী উপজেলার ফিশিং বোট মালিক সমিতির নেতারা মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একটি স্বারকলিপি প্রদান করে আজ সকালে।

ডাকাতির শিকার ট্রলার গুলি হলো- আব্দুল মোনাফের মালিকানাধীন এফবি শাহেদ, মোহাম্মদ রফিকের মালিকানাধীন এফবি রাফিয়া মণি, ছালা উদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান, রকিব উল্লাহ মারিকনাধীন এফবি ফয়সাল, সিরাজ উল্লাহ মালিকনাধীন এফবি আল্লাহ দান, গিয়াস উদ্দিনের মালিকনাধীন এফবি মায়ের দোয়া, এসব ট্রলারের মালিক মহেশখালী পৌরসভাস্থ ০৯ নং ওয়ার্ড এর স্থানীয়।

নুরুল আলম মেম্বারের  মালিকনাধীন এফবি মায়ের দোয়া  মোহাম্মদ পুর তেলীপাড়া ছোট মহেশখালী।

ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি জালাল আহমদ জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ফিশিং বোট গুলো বঙ্গোপসাগর হতে মাছ ধরে মহেশখালী আসার পথে সোনাদিয়া দক্ষিণ পার্শ্বে মহেশখালী চ্যানেলে পৌছিলে অজ্ঞাত নামা ২০/৩০ জন জলদস্যু অতর্কিত হামলা করে উল্লেখিত ফিশিং বোটে উঠে  ফিশিং বোটে থাকা মাঝি মাল্লাদেরকে মারধর করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। জখম হওয়া প্রায় ২৪ জন মাঝি মাল্লা কক্সবাজার জেলাস্থ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহতের মধ্যে চল্লাত মাঝি এর অবস্থা গুরুতর বলে জানাযায়।

অজ্ঞাতনামা জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিশিং বোটগুলির সাগর থেকে ধরা মাছ ও বোটে থাকা অন্যান্য সরঞ্জামাদি লুটপাঠ করে  যার মুল্য ৩০ লাখ টাকা।

গত বছরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ কাছে মহেশখালীতে সাগরে জলদস্যু ডাকাত সন্ত্রাসীদের ৬ বাহিনীর ৪৩ জন আত্মসম্পর্ণ করলেও জলদস্যুর বিশাল একটি অংশ এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে।

চলতি মৌসুমে সাগরে জলদস্যুদের কঠোর হস্তে দমন করার জোর দাবি জানালেন মহেশখালীর সচেতন মহল।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। ট্রলার মালিকগণের সহযোগিতায় জলদস্যুদের চিহ্নিত করে  তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version