সোনাদিয়ার ত্রাস জলদস্যু জাম্বু-বতইল্যা বাহিনীর হামলা বাড়িঘর ভাংচুর ও লুঠপাট

fec-image

ডাকাতি
মহেশখালী প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের জলদস্যুতা থেমে নেই। ট্রলার সহ মাঝি-মাল্লাদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ে মোকারম হোসেন প্রকাশ জাম্বু ও সরওয়ার কামাল প্রকাশ বতইল্যার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতা চলছে বীরদর্পে।

এ জলদস্যুরা জিম্মি করে রেখেছে হাজার হাজার জেলেদের। এ জলদস্যুদের কর্মকান্ডে এলাকার কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।

সম্প্রতি সোনাদিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের জোমা খাতুনসহ তার পরিবার জলদস্যুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নেমে আসে জলদস্যুদের অমানবিক নির্যাতন।

গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪ ঘটিকার সময় কুখ্যাত জলদস্যু জাম্বু ও বতইল্যার নেতৃত্বে একদল জলদস্যু অবৈধ অস্ত্রসস্ত্র সহকারে জোমা খাতুনের বসতঘরে আক্রমণ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় জলদস্যুরা বসতঘরে রক্ষিত ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার, মূল্যবাণ কাপড়-চোপড়, নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুঠপাঠ করার সময় জোমা খাতুন ও তার ছেলে ছৈয়দ মিয়া বাধা দিতে এলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুত্বর জখম করে। পরে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীর মালিক জোমা খাতুন বাদী হয়ে বাহাদুর মিয়ার পুত্র সওয়ার কামাল প্রকাশ বতইল্যাকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ এপ্রিল মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করে।

জানা যায়, জাম্বু ও বতইল্যা বাহিনী বিগত ৫ বছর ধরে সোনাদিয়া দ্বীপে জলদস্যুদের নিয়ে প্রতিনিয়ত ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। একাধিক বার আটক হলেও মোটা টাকার বিনিময়ে জামিনে বেরিয়ে ফের জলদস্যুতা শুরু করে। তাদের ভয়ে জেলে পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।

মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বনিক জানান, সোনাদিয়া এলাকায় জলদস্যুদের ধরতে পুলিশের বিশেষ টিম রয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ব্যাপারে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন