parbattanews

সোনামিয়া টিলা গুচ্ছগ্রামের বাঙালিরা নিজভূমে ফিরতে পারছেনা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সোনাটিলার ৮শ’ ১২টি পরিবার এখনও ফিরতে পারেনি নিজ ভূমিতে। অবশ্য ভূমি না থাকলেও নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। মানবেতর জীবন কাটছে গুচ্ছগ্রামে। আদালতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বারবার নির্দেশনাও উপেক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য পাহাড়ের সশস্ত্র আঞ্চলিক দলগুলোই দায়ী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

বাবুছড়ার গুচ্ছগ্রাম, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার প্রধান সড়কের একদমই পাশে। বাইরে থেকে দেখে ধারণাই করা যাবে না, এই গুচ্ছগ্রামে কী মানবেতর জীবনযাপন করছেন মানুষগুলো ।

১০ হাত বাই ১২ হাত আয়তনের একেকটি ঘর। অধিকাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে ১০ জন, ১৫ জনের পরিবারও এইরকম একটি ঘরে বসবাস করছেন। গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থাও পাশাপাশি। নেই বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নালা-নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সশস্ত্র আঞ্চলিক দলগুলোর ভয়ে বাঙালিরা গুচ্ছগ্রামের বাইরেও যেতে পারে না।

সোনামিয়া টিলায় ৮১২টি বাঙালি পরিবারকে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে শান্তি বাহিনীর অব্যাহত সহিংসতার মুখে ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে ওইসব পরিবারকে সোনামিয়া টিলা থেকে গুচ্ছগ্রামে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন সেখানে বসবাস করছে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়। বেশ কিছু ধর্মীয় স্থাপনাও গড়ে তোলা হয়েছে।

সোনামিয়া টিলা নিয়ে সরকারি নির্দেশনা এখনও পৌঁছেনি বললেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

দিঘীনালা উপজেলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক হাওলাদার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় চিঠি দেওয়ার পর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছিল।

Exit mobile version