স্টাফ রিপোর্টার:
লংগদুতে অপহৃত ৩ বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে আঞ্চলিক বাঙালী সংগঠন পার্বত্য যুব ফ্রন্টের ডাকে রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল। সকাল থেকে শহরে অটোরিক্সাসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর পাল্লার সড়ক পথে কোন বাস ও নৌ পথে কোন লঞ্চ চলাচল করছেনা। রাঙামাটি শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে শহরে বনরূপায় হরতালের পিকেটিংয়ের সময় পার্বত্য যুব ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান পুলিশের হাতে লাঞ্চিত হলে উত্তেজনা দেখা দেয় সংগঠনটির মধ্যে। পরে তাৎক্ষণিত এক সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য যুব ফ্রন্ট নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য যুব ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদকে লঞ্চিত করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। তাছাড়া আগামী সোমবার ১৭তারিখের মধ্যে অপহৃত তিন বন কর্মকর্তাকে মুক্তি দেয়া না হলে ঐদিনই কঠোর আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে সংগঠটির পক্ষ থেকে হুশিয়ারী দেওয়া হয়। এসংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য যুব ফ্রন্ট নেতা মোঃ শাহজাহান, কাজী মোঃ জালোয়া ও সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।
গত ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলীর মধ্যমহাড়িকাটা নামক প্রত্যন্ত এলাকায় জোতবাগান পরিদর্শনে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে পার্বত্য চট্রগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ ফরিদ মিয়া, কাচালংমুখ চেকস্টেশন ও শুল্কফাঁড়ির রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম ও ফরেস্টার বিবর্তন চাকমা অপহরণের শিকার হন। এক সপ্তাহ গত হলেও অপহৃতদের মুক্তি মেলেনি।
ওই অপহরণ ঘটনায় গত শনিবার লংগদু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন পার্বত্য চট্রগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বনপ্রহরী নাদির হোসেন। এদিকে অপর এক সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত তিনজনের মুক্তিপণ হিসেবে ১ কোটি টাকা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার রাঙামাটি শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন পার্বত্য যুব ফ্রন্টের সভাপতি মোঃ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হান্নান।