parbattanews

সৌন্দর্যের লীলাভূমিই নয়, পাহাড়ে লুকিয়ে আছে বিপুল ধন ভাণ্ডার

দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার মোট আয়তন ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। এ এলাকা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, যেখানে সম্পদ সম্ভাবনার এক বিপুল ধন ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। পর্যটন সুবিধা ও ভূমির প্রাচুর্যের পাশাপাশি এখানে রয়েছে মূল্যবান জলজ, ফলজ, বনজ এবং অনাবিষ্কৃত খনিজ সম্পদের অমিত সম্ভাবনা।

সমতলের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা। সবুজ বনাঞ্চল, পাহাড়, নদী, ঝর্ণা ও ভিন্ন ভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস এই অঞ্চলকে পরিণত করেছে বাংলাদেশের এক বৈচিত্রপূর্ণ জনপদে। বঙ্গোপসাগরের খুব কাছে এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থানের কারণে এই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বও অপরিসীম।

পুরো দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। অবশ্য ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরও এই অঞ্চল ছিল কিছুটা অবহেলিত। তবে বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। সীমান্ত সড়কসহ দুর্গম এই অঞ্চলে গড়ে তোলা হচ্ছে রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, পর্যটন কেন্দ্রসহ অন্যান্য অবকাঠামো। যা পাল্টে দিয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা, উজ্জ্বল হচ্ছে ভবিষ্যৎ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মিলনস্থল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব সুদূর অতীত থেকেই বিরাজমান। তবে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে বর্তমানে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়ে গেছে আরও বহুগুণ।

বঙ্গোপসাগর হয়ে ইন্দো প্যাসিফিক, উত্তরপূর্ব ভারত ছুঁয়ে নিম্ন হিমালয় আর মিয়ানমারের সীমান্ত স্পর্শ করে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। আর বৃহত্তর চট্টগ্রামের সীমান্ত সংলগ্ন অধিকাংশ এলাকাই পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এই ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের বাস্তবতায় বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়ছে।

ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, ভারত ও চীনের মতো উদীয়মান পরাশক্তির কাছাকাছি অবস্থান এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটির কেন্দ্র, সামুদ্রিক অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার সুবিধার কারণে এই অঞ্চলকে ভূরাজনীতি ও যোগাযোগের ট্রানজিট পয়েন্ট বলে চিহ্নিত করা হয়।

পাশাপাশি এই অঞ্চলের অল্প দূরেই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর কক্সবাজারের মাতারবাড়ির অবস্থান। এ কারণে পার্বত্য অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। এছাড়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা এবং বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতা এই অঞ্চলের ভূরাজনীতির গুরুত্বের পাশাপাশি ভূকৌশলগত তাৎপর্যও বাড়িয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের জলজ সম্পদের সম্ভাবনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের রানি হলো কাপ্তাই লেক। ডুবে থাকা পাহাড়, পাহাড়ি নদী আর ঝর্ণার মিশেলে কাপ্তাই লেক হয়ে উঠেছে জীবন্ত ক্যানভাস। শুধু কাপ্তাই লেকই নয় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা জুড়ে প্রবাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি নদী ও অসংখ্য খাল। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে প্রবাহিত হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার চিংড়ী নদী। রাঙামাটি দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কাসালং নদী, ১৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাইনখ্যং নদী ও শুভলং-মরম ছড়া নদী।

এছাড়া বান্দরবানে রয়েছে ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুলু খাল-টংকাবাতী খাল, খাগড়াছড়ি জেলায় রয়েছে গুইমারা খাল ও রামগড় খাল। এসব নদী ও খাল এবং কাপ্তাই লেকের পানি সম্পদকে ব্যবহার করে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব, অপরদিকে প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদ থেকে সম্ভব বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ আহরণ।

এই হ্রদ থেকে বর্তমানে ১০ হাজার টন মাছ আহরণ করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে চাষ করা হলে এখান থেকে বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি মাছ আহরণ করা সম্ভব।

পার্বত্য এলাকার পর্যটন সম্ভাবনা
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূপ্রকৃতি, সবুজ বনভূমি ও জাতিগত বৈচিত্র্য সম্পূর্ণ আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হওয়ার কারণে এখানে পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে। এই এলাকার ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি, ঝর্ণার মিশ্রণ, সুনীল শান্ত হ্রদ, নিরিবিলি নৈসর্গিক পরিবেশ সহজেই মন কেড়ে নেয় যেকোনো মানুষের।

ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) পর্যটন মহাপরিকল্পনার চলমান গবেষণায় এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ৮৫টি পর্যটন–আকর্ষণ স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ২৯টি, বান্দরবানে ৪১টি ও খাগড়াছড়িতে ১৫টির অবস্থান। শনাক্ত করা স্থানগুলোতে আট ধরনের পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ৮৫টি স্থানের মধ্যে ৬০টি স্থানে সম্ভাবনা ইকো ও কমিউটি পর্যটন গড়ে তোলা সম্ভব।

২০১০ সালের পর্যটন নীতিমালায় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে ইকোট্যুরিজম ও কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের কথা। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে পর্যটকদের ভ্রমণ চাহিদাও পরিবর্তিত হয়েছে। শহরের সাজানো-গোছানো কৃত্রিমতা ও বিলাসী দালানকোঠা নয়, পর্যটকেরা অকৃত্রিম প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চান।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে এখানে ইকো ট্যুরিজম ও সামাজিক পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ নেপালের অন্নপূর্ণা ও হিমালয়ের পাদদেশে গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি হোমস্টে বা ট্যুরিজম গড়ে উঠেছে। পর্যটকেরা এসব গ্রামে পছন্দমতো যে কারও বাড়িতে অতিথি হতে পারেন।

মূলত পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসা পর্যটকরাই এসব হোমস্টের গ্রাহক। ভারতের নাগাল্যান্ডেও কমিউনিটি ট্যুরিজম চালু রয়েছে। আমাদের দেশে সিলেটের কমলগঞ্জ উপজেলায় মণিপুরিদের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে ২০১৮ সাল থেকে কমিউনিটি ট্যুরিজম চালু করা হয়েছে। সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।

এই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকেরা এখন আর জেলা শহরে থাকেন না। তারা পাহাড়ের গহীনে প্রকৃতির কোলে অবস্থান করতে চান। তারা সেখানকার স্থানীয় মানুষদের বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকেন। এ অবস্থায় এই অঞ্চলে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো থেকে প্রচুর পর্যটক আসবে।

বর্তমানে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও রাঙ্গামাটির সাজেক, বান্দরবানের বগা লেক, কেওক্রাডাং, রেমাক্রি, তিন্দু ও দেবতাখুমসহ বেশ কিছু এলাকায় সামাজিক পর্যটন গড়ে উঠছে।

মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিপুল সম্ভাবনা
পার্বত্য চট্টগ্রামে ফল উৎপাদনের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো হচ্ছে না। শুধু মৌসুমি ফল চাষ করেই তিন জেলা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এখানে ফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা স্থাপনেরও সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তিন জেলায় ছোট-বড় বহু উদ্যোক্তা ফল চাষে যুক্ত হয়েছেন।

এসব উদ্যোক্তার হাত ধরে পাহাড়ি এলাকায় আম, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, আনারসসহ বিভিন্ন জাতের ফল উৎপাদিত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শুধু রাঙ্গামাটি জেলাতেই আম, কলা, আনারস, লিচু ও কাঁঠাল উৎপাদিত হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে, সারা দেশে উৎপাদিত ফলের প্রায় ১৫ শতাংশ এখন আসে এই তিন পার্বত্য জেলা থেকে। তিন জেলার ফলচাষি, কৃষিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ ভোক্তাদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির কল্যাণে জুমচাষ ছেড়ে স্থায়ী বাগান করার প্রবণতা ও বিপণন আগের চেয়ে সহজ হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ফল চাষ বাড়ছে। পাশাপাশি শিক্ষিত উদ্যমী তরুণেরা এই খাতে আসায় নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হয়েছে।

খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য অঞ্চল
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান ও পরিস্থিতি প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, চুনা পাথর, কঠিন শিলা প্রভৃতি মূল্যবান খনিজ সম্পদের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। তবে এসব খনিজ সম্পদের প্রায় পুরোটাই এখন পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই প্রমাণিত পার্বত্য এলাকায় তেল-গ্যাসের মজুত রয়েছে। বিভিন্ন সময় আলাপ-আলোচনা হলেও, এই অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন কোনো কাজ চোখে পড়ে নি।

যদিও পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এখানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালায় বিদেশি কয়েকটি কোম্পানি। সে সময় এই অঞ্চলের জালদি, সিতাপাহাড়, পটিয়া, পাথারিয়া, সুনেত্র আর কাসালং-এ মিলে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপস্থিতি।

তবে বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলে তেল-গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ অনুসন্ধানে উদ্যোগ নিয়েছে। পাহাড়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভুয়াছড়ি, সারডেং-সাবতাং, সিসাক, গোবামুড়া-কামুপাড়, চাংগুতাং, বরকল, বেলাছড়ি, গিলাছড়ি, বান্দরবান ও মাতামুহুরীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) পার্বত্য এলাকার এসব অঞ্চলে ১০টি সুনির্দিষ্ট ‘স্ট্রাকচার’ চিহ্নিত করেছে। এসব ‘স্ট্রাকচারে’ তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হবে। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের ধারণা পাবর্ত্য এলাকায় বিপুল গ্যাসের আধার রয়েছে। সেখানে অনুসন্ধান চালালে ভালো ফল পাবে বাংলাদেশ।

সমৃদ্ধির বার্তা দিচ্ছে সীমান্ত সড়ক
সড়ক যোগাযোগ না থাকায় পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্ত সংলগ্ন বিস্তৃত অঞ্চল অনেকটাই অরক্ষিত। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, বিদ্যুৎ নেই, রয়েছে তীব্র পানি সংকট। এ সুযোগে এ এলাকা হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্য। লোকালয়ে এসে অপরাধ করে গহিন পাহাড়ে অনায়াসেই সটকে পড়ছে দুষ্কৃতকারীরা।

যোগাযোগব্যবস্থার দুর্বল দশার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত টহলের অভাবে এসব অঞ্চলে অনেকটা বিনা বাধায় ঢুকে পড়ে অস্ত্র ও মাদক।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন দ্রুতই এই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরো সড়কটি হলে এখানে বিদ্যুৎ আসবে, মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যাও থাকবে না, পানির সংকটও দূর হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজের পরিবেশ পেলে সন্ত্রাসী কার্যক্রমও কমবে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের ৩৭০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। এই সীমান্ত সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃশ্যপট। সড়কের সুবিধা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যোগাযোগব্যবস্থা ও পর্যটনশিল্পেরও উন্নয়ন হবে।

সবচেয়ে বড় কথা পুরো পার্বত্য অঞ্চল নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চলে আসবে। সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে পিছিয়ে পড়া পার্বত্যভূমি। সূত্র: সময় টিভি

Exit mobile version