parbattanews

স্থলবন্দর স্থান ও মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বুধবার(২৬ জুন) খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্থলবন্দরের স্থান ও ফেনী নদীর উপর ভারতের নির্মাণাধীন মৈত্রী সেতু-১ পরিদর্শন করেছেন।

পৌর এলাকার সীমান্তবর্তী মহামুনিতে বিজিবির অবজারবেশন টাওয়ারে উঠে মহাপরিচালক মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেন। তিনি স্থল বন্দরের জন্য নির্ধারিত জায়গা এবং আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট (আইসিপি), কাস্টমসসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন।

বিজিবির মহামুনি ক্যাম্পে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজী চাহেল তস্তরী স্থলবন্দরের ভূমি বিষয়ে মহাপরিচালককে অবহিত করেন। এসময় বিজিবির চট্টগ্রামের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম সিকদার, গুইমারার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল হাই, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তারিকুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, স্থলবন্দরের স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি রামগড়ে অবস্থিত বিজিবির প্রতিষ্ঠা স্মৃতি সৌধ ও রামগড় বিশেষ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ৪৩ বিজিবির টু আই সি মেজর হুমায়ুন কবির জানান, বুধবার সকালে সামরিক হেলিকপ্টারযোগে রামগড়ে এসে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

তিনি ব্যাটালিয়ন সদরে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও গাছের চারা রোপন করেন। এসময় তিনি বিজিবি সদস্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করেন। তিনি আরও জানান, বিজিবির প্রতিষ্ঠা স্মৃতি সৌধ ও এর পাশ্ববর্তী বিশেষ ক্যাম্পের এলাকাটি সুরক্ষিত করতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বিজিবির প্রতিষ্ঠাস্থান হিসেবে ওই এলাকায় বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনাও রয়েছে মহাপরিচালক মহোদয়ের।

এদিকে, মহাপরিচালকের সহধর্মিনী বিজিবি পরিবার কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠ পোষক মিসেস সোমা ইসলাম ব্যাটালিয়ন সদরে পরিবার কল্যাণ সমিতির পরিচালিত সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিজিবি চিলড্রেন ক্লাব পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন পরিবার কল্যাণ সমিতি ও চিলড্রেন ক্লাবের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং কল্যাণ সমিতি ও চিলড্রেন ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এসময় বিজিবির চট্টগ্রামের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারার সেক্টর কমান্ডার, রামগড় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও ব্যাটালিয়ন টুআই সি’র সহধর্মিণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version