স্বাভাবিক জীব‌নে ফির‌তে মা‌টিরাঙ্গায় এক ট্রাক চাল‌কের আকু‌তি

fec-image

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বাইল্যাছড়ি ছাগলনাইয়া পাড়ার বাসিন্দা ট্রাক চালক মো. রুহুণ আমিন ওরফে মিয়া ড্রাইভার। প্রতিদি‌নের মত গত ১৯ অক্টোবর ২০২১ সালে সকাল বেলায় স্থানীয় আলা উ‌দ্দি‌নের ট্রাক নি‌য়ে মাটিরাঙ্গা থেকে মানিকছড়ি বাঁশ বোঝাই করতে যাওয়ার পথে গুইমারার গবামারা নামক এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা ফেনীগা‌মী যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ‌তে মিয়া ড্রাইভারের ডান পা ভেঙ্গে যায় । বন্ধ হ‌য়ে যায় উপার্জনের চাকা । সু‌খের সংসা‌রে নে‌মে আ‌সে অন্ধকা‌রের কা‌লো ছায়া।

দুর্ঘটনার আগে স্ত্রী, ছে‌লে মো. আল আ‌মিন (৯), মে‌য়ে জন্নাতুল ফের‌দৌস (৫) দুই সন্তান নি‌য়ে সু‌খে শা‌ন্তি‌তে দিন যা‌চ্ছিল তার।‌ কিন্তু বি‌ধি বাম, সে সুখ বে‌শি দিন সই‌লোনা তার । তবে সে আবার স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরতে চান।

আহত ট্রাকচালক মিয়া ড্রাইভার ব‌লেন, নিজের কাছে যে অর্থ ছিল তা দিয়ে সাধ্য মতো চিকিৎসা চালা‌তে‌ গি‌য়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে‌ছে। যার ম‌ধ্যে ট্রাক মা‌লিক আলা উ‌দ্দি‌নের মাধ‌্যমে ৬০ হাজার , প‌রিবহন শ্রমিক কল‌্যাণ প‌রিষ‌দ ৫০ হাজার টাকা আ‌র্থিক সহায়তা পে‌য়ে‌ছি। আত্মসম্মা‌নে কথা ভে‌বে কা‌রো কা‌ছে হাত পা‌তি নাই। আজ আমার প‌রিবার অসহায়। এ পর্যন্ত চার বার অপারেশন করানোর পরও সুস্থ্ হই‌নি। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ডা. নয়নময় ত্রিপুরার অধী‌নে চি‌কিৎসা চল‌ছে। টাকা পয়সার যোগানের উৎস না থাকায় চিকিৎসা স‌ঠিকভা‌বে চলছে না। রড লাগানো অবস্থায় ঘরে শুয়ে বসে অনেক কষ্টে দিন কাটছে । অন্যদিকে অভাব অনটনে পরিবারের ভরণ-পোষণ চালিয়ে জীবনযাপনও অসম্ভব হয়ে পড়েছে ।ছে‌লে আমিন ২৮ পারা কোরআন মুখস্থ ক‌রেছে এবং ছোট্ট মেয়েটির পড়াশোনাও প্রায় বন্ধের পথে ।

তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, আমার কর্মক্ষমতা হীনতার কার‌ণে আমার স্ত্রী আজ দিশেহারা অসহায়। ডাক্তার ব‌লে‌ছেন, ‌পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করতে আরো প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হ‌বে । নিজের পরিবারের পক্ষে এই অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব নয় বিধায় সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের নিকট মান‌বিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করছি। আমার কোন ব‌্যাংক একাউন্ট নাই। সরাস‌রি যোগা‌যোগ ও সহ‌যো‌গিতা পাঠা‌নোর ঠিকানা, মো. রুহুল আ‌মিন, মোবাইল: ০১৮৬৩০০৫৯৯৫ ( বিকাশ পার্সনাল) ।

উ‌ল্লেখ‌্য যে, ইতিমধ্যে তাইন্দং, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কিছু ব্যবসায়ীদের পাঠানো ১০ দশ হাজার টাকা ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমার হাতে হস্তগত হ‌য়ে‌ছে। আর্থিক সহায়তা ক‌রে দু‌র্দিনে আমার পা‌শে থাকার জন‌্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর‌ছি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মাটিরাঙ্গা, স্বাভাবিক কর্মজীবন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন