স্বামীর পরকিয়ার বলি হলেন ৩ সন্তানের জননী মর্ত্তুজা

fec-image

স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বলি হলেন গৃহবধূ মর্ত্তুজা বেগম (৩৫)। স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা দেওয়ায় কাল হয়ে দাঁড়ায় ওই গৃহবধূর। তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ঘাতক স্বামী। সে তিন সন্তানের জননী।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ২ টায় কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী দশের ঘোনা নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার আব্দস শুক্কুরের স্ত্রী ও মোজাহের আহম্মদের মেয়ে।

নিহতের ছেলে রিদুয়ান মিয়া বলেন, ইউনুস চৌকিদারের বউ শাহেনা বেগম, পাশের রুজিনা বেগম, রেহেনা বেগমের ফাঁদে পড়ে আমার বাবা। বাবার পরকিয়ায় আমার মা বাঁধা দিলে রাতে মাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বাবা। আমি আমার মায়ের হত্যাকারীর বিচার দাবি করছি।

নিহত গৃহবধূর মা জহুরা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী আব্দস শুক্কুর। ঘটনার দিন রাত ২ টায় আব্দুস শুক্কুর আমার বড় ছেলে বাদশাকে কল করে বলে তুর বোন নিয়ে যা না হয় আমি মেরে ফেলবো। তখন বাদশা তাকে বলে আমি সকালে আসবো তখন পর্যন্ত অপেক্ষা করো। সে সময়টুকু পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি আমার মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, গলাটিপে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। সে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে ঘরে গিয়ে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। আমি খুনী শুক্কুরের বিচার দাবি করছি।

স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দসি শুক্কুর এলাকার দুই একটা খারাপ মহিলার সাথে পরকিয়া প্রেমে পড়ে। সেই পরকিয়া প্রেমে তার স্ত্রী বাঁধা দিলে প্রায় সময় তার উপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। তার পরও সে সহ্য করে দিন কাটাতো। ঘটনার দিন ও আব্দুস শুক্কুর তার স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ছেলেমেয়েদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে গেলে মাটিতে ওই গৃহবধূর নিথর দেহ পড়া দেখলে পুলিশকে খবর দেয় তারা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেক বার সলিশ হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) তাজউদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জননী, পরকিয়া, সন্তান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন