parbattanews

স্যামসাং-এর নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর

প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল ফ্রস্ট প্রযুক্তির; এগুলোতে খাবার রাখলে সহজে বরফ জমে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলেও খাবারকে ফ্রেশ রাখে এ প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটরগুলো। কিন্তু বরফ জমে যাওয়ায় এ ধরণের ফ্রিজ থেকে খাবার নিয়েই সাথে সাথে খাওয়া যায় না, অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ইচ্ছা হলেই ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে খাওয়া যায় না, অনেক সময় বরফে আটকে গেলে টেনে খাবার বের করতে বেগ পেতে হয়। এমন সমস্যা থেকে বাঁচতে নতুন করে সংযোজিত হয় নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তি। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ চালুর সাথে সাথে ভিতরে শীতল হতে শুরু করে এবং টাইমার চালু হয়ে যায়। ছয় ঘণ্টা পর পর এটি হিটার চালু করে দেয়, ফলে ফ্রিজের গায়ে বরফ থাকলেও তা গলে যায়। ভিতরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌছালে সেন্সরের মাধ্যমে হিটার বন্ধ হয়ে যায় এবং অনুক‚ল পর্যাপ্ত তাপমাত্রায় বরফ না জমেই খাবার থাকে টাটকা ও সুস্বাদু।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী স্যামসাং নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে। সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে থাকা মানুষের অভিরুচি ও লাইফস্টাইলকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করেছে স্যামসাং। নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরগুলো মধ্যবিত্ত পরিবারের চাহিদা মেটাতে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে তৈরি করা হয়েছে। শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই নয়, মানুষ এখন রেফ্রিজারেটর কিনছে ঘরের শোভা বৃদ্ধির জন্যও। তাই, ঘরের সাথে মানানসই ডিজাইন ও সাইজের কথা মাথায় রেখে স্যামসাং এর রেফ্রিজারেটরগুলোতে রেখেছে বিভিন্ন কালার, ডিজাইন, সাইজ ও ফিচারের সমন্বয়। এতে ক্রেতারা সহজেই নিজের চাহিদামত রেফ্রিজারেটর পছন্দ করতে পারে।

বাংলাদেশেও এখন স্যামসাং-এর নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর পাওয়া যাচ্ছে। মডেল, সাইজ ও ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ রেফ্রিজারেটরগুলো পাওয়া যাবে ৩৪,৯০০ টাকা ২,১০,০০০ টাকার মধ্যে।

Exit mobile version