উখিয়া সড়কে গর্ত, পথচারীদের দুর্ভোগ

fec-image

টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার প্রধান স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনব্যস্ততম স্টেশনে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে পথচারীদের মাঝে নানান দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে এমন গর্তের ব্যাপারে কারো কোন মাথা নেই, এমনটি জানালেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

সোমবার দুপুরে (১৩জুলাই) উখিয়ার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত ব্রিজ থেকে শুরু করে মরিচ্যা লাল ব্রিজ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা, খন্দক, বড় বড় গর্ত ও পানি নিস্কাশন না থাকায় কাঁদা মাটি সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ছাড়াও পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, কোটবাজার, মরিচ্যা ও সোনারপাড়া বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্যাপক কাঁদা ও গর্তে পানি জমে যান ও পথচারীরা ব্যাপক দুর্ভোগের পড়েছে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে আহত ও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। করোনা লকডাউন শিথিল হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও এনজিওদের মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের এই করুন অবস্থা বলে মনে করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে এসব দেখার বা বলার কেউ না থাকায় সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে।

বিশেষ করে উখিয়া সদর স্টেশন এবং কোটবাজারের অবস্থান বেহাল। যার ফলে ঈদের ছুটিতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বাধার সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার কেউ নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজাপালং ইউনিয়নের হারাশিয়া এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম জানান, সড়ক দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের কথা বলে দু’পাশে নালা খনন সৃষ্টি লণ্ডভণ্ড করে ফেলেছে। যার কারণে কাঁদা মাটি সৃষ্টি সাধারণ পথচারীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

আরো জানা যায়, এসড়ক দিয়ে গত ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন শত শত মালবাহী ট্রাক, পিকাপ, কাভার্ড ভ্যান, জিপ নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করে আসছে। এছাড়াও বাঁশ বোঝাই ট্রাক কক্সবাজার টেকনাফ সড়ককে লণ্ডভণ্ড করে ফেলেছে। বিশেষ করে আইএনজিও, এনজিও এর হাজারও গাড়ি চলাচল করায় সড়কটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল করিম জানান, হাজার হাজার যানবাহন মাত্রাতিরিক্ত চলাচলের কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। নিরাপদে কোথাও যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বড় বড় খানা খন্দকের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এ সড়কের স্টেশন গুলো প্রস্থত্ব করণের কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া সড়কের পার্শ্বে খানা খন্দকে ভরপুর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও সওজ বিভাগ কোনো গরজ মনে করছে না। বর্তমানে বলতে গেলে কিছু কিছু এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু অংশে পানি জমে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার কাজ হয়ে যাবে। এরপর সড়কে বর্তমানে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা আর থাকবেনা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়ায়, দুর্ভোগ, সড়কের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন