parbattanews

সড়কে লবণের পানি পড়া বন্ধে তৎপরতা

20170103_163336
পেকুয়া প্রতিনিধি :
সড়কে লবণ পানি পড়া বন্ধে তৎপর হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। লবণাক্ত পানির দরূণ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতনমহল।

এদিকে লবণের পানি সড়কে পড়া বন্ধ করতে করণীয় নিয়ে শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে মগনামা ইউপি কার্যালয়ে লবণ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম।

জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৩৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও দু’শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। লবণ পরিবহণে প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলেও তা না মানায় ট্রাক থেকে সড়কে গলে পড়া লবণ পানি এবং রাতের কুয়াশা পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এছাড়াও লবণ পরিবহনে পেকুয়া উপজেলার মগনামা, রাজাখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্রধান সড়কসমূহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট নিজাম উদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে দুই বছর পূর্বেই আমি একটি সুপারিশনামা দাখিল করেছিলাম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে। সড়কে পড়া লবণ পানি ছাড়াও বিভিন্ন কারণ উল্লেখ ছিল ওই সুপারিশে। এসব সুপারিশ কার্যকর না হওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের নির্দেশে সড়কে লবণ পানি পড়া বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। উপকূলীয় যে সকল এলাকায় লবণ উৎপাদিত হয় সে সকল ইউপি চেয়ারম্যানরা মাঠে নেমেছেন। পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মাঠ পর্যায়ে লবণ ব্যবসায়ী ও লবণ পরিবহন কাজে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভাও করেছেন ইতিমধ্যে।

এব্যাপারে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বিষয়রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আমি লবণ ব্যবসায়ীদের সাথে বসেছি। তাদের সাথে কথা বলে দুটি বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি। লবণ পরিবহনে পানি পড়া বন্ধ করতে হলে প্রথমত শুকনো লবণ পরিবহন করতে হবে। দ্বিতীয়ত লবণ পানি রাস্তায় যাতে না পড়ে তার জন্য গাড়িতে পলিথিন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও সড়ক পথে লবণ পরিবহন না করে নদী পথে লবণ পরিবহনে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে। এর জন্য ইউনিয়নের চ্যানেলগুলো পরিষ্কার করা অতীব জরুরী। লবণ পরিবহণের জন্য আলাদা টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সাহেবের নির্দেশে আমি খাস জমি দেখে রেখেছি। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বরাদ্দ প্রয়োজন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, সড়কে দুর্ঘটনার জন্য লবণ পানি মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। তাই লবণ পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কে যাতে পানি না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি রাখা উচিৎ। নয়তো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version