parbattanews

হঠাৎ কেন বেপরোয়া কেএনএফ

ফাইল ছবি

গত বছর প্রথম ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বান্দরবানে সংগঠনটির বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আস্তানা গড়া ও প্রশিক্ষণে সহায়তার অভিযোগে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এতে তাদের হাতে প্রাণ হারান সেনা সদস্যসহ কয়েকজন।

তবে গত মঙ্গল ও বুধবার রুমা আর থানচিতে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় বড়ধরনের হামলা অনেকটাই নজিরবিহীন

সংঘাত বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কেএনএফ এর শান্তি আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ১৯ জুলাই। দুদফা ভার্চুয়াল আলোচনার পর ৫ নভেম্বর ও চলতি বছরের ৫ মার্চ বৈঠক হয় সরাসরি। তাতে সংগঠনটি সাত দফা দাবিনামা দেয়। প্রতিশ্রুতি দেয় আপাতত সন্ত্রাসে না জড়ানোর। কিন্তু, সেটি ভেঙে সংগঠনটি হঠাৎ কেন সহিংস পথ বেছে নিলো, তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের মতে, এখানে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে শান্তি আলোচনা যেন না হয় সে কারণে বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না। আরও একটি প্রশ্ন হলো, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির সময় সেখানে থাকা কেউ কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি, এই মোবাইলের যুগেও?

আগামী ২২ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল পরবর্তী বৈঠক। তবে সেটিও এখন অনিশ্চিত। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু মনে করেন, এমন হামলা অনেকটাই রুদ্ধ করে দিয়েছে আলোচনার পথ। তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা চলাকালে যখন সরকার আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক বিষয় শিথিল করেছে, এর সুযোগেই তারা বড় বড় ২ থেকে ৩টি ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রত্যাশা ছিলো তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। কিন্তু এ ঘটনা সব কিছুর কবর রচনা করে দিয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠকে আগামী ২২ এপ্রিল যে শান্তি সংলাপ হওয়ার কথা তা বাতিল করে দিয়েছি।

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে ২০২২ সালের এপ্রিলে। সংগঠনটির প্রধান নাথান বম। তাদের মূল দাবি, পার্বত্যাঞ্চলের ৯টি উপজেলাকে নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়া। সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের পর এই প্রথম এত বড় হামলা চালালো।

 

 

 

Exit mobile version