parbattanews

হাইকোর্টেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি কক্সবাজারের নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন

ঋণখেলাপের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়নটি বাতিল করেন।

এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন সালাহ উদ্দিন। ১৫ ডিসেম্বর সে আপিল নামঞ্জুর করে কমিশন। এরপর তিনি হাইকোর্টে যান।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৪৭ কোটি টাকার ঋণখেলাপি হওয়ায় সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জনতা ব্যাংক থেকে ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি কিছু ঋণের জামিনদার ছিলাম। যা পরে খেলাপি ছিল। কিন্তু আদালতের মাধ্যমে আমি জামিনদার থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। সব কাগজপত্র সঙ্গে দেওয়া আছে। তারপরও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করলেন।

Exit mobile version