সৌন্দয্যের লীলা ভূমি সাজেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সন্নিহিত প্রাকৃতিক রূপে রূপময় সাজেক। সমতল ভূমি থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট উচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত সাজেক। পাহাড়ের চূড়া থেকে মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, আকাশ-পাহাড়ের মিতালি ও শুভ্র মেঘের খেলা দেখা যায়। সে কারণে সাজেকের রুইলুই,কংলাক ও ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রামে হাজারো পর্যটক ভিড় করেছেন।
সাজেকে সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম হাজারো দৃশ্য। সাজেকের রয়েছে, ঢেউ খেলানো অসংখ্য উচু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত হৃদয় গ্রাস করা সবুজ বনানী পূর্ণ। রাস্তার দু’ধারে চোখে পড়বে উপজাতীয়দে বসত বাড়ি ও বিচিত্রময় জীবন ধারা। সাজেকের সূর্যোদয় ও পাহাড়ের ভাঁজে-ভাঁজে শুভ্র মেঘের খেলা সত্যি অপূর্ব। মহামারি করোনার ধকল কাটিয়ে দুই বছর পর সাজেকে আসতে পেরে মুগ্ধ পর্যটকরা। রাতের সাজেকের দৃশ্য আরো রোমাঞ্চকর।
বাড়তি পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ মালিকরা। দীর্ঘ দুই বছর পর বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমে খুশি তারা।
সাজেকের হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী বলেন, ৩ মে থেকে সাজেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বর্তমানে সাজেকের সবগুলো রিসোর্ট-কটেজ ফুল ফিলাপ। ৭ মে পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে।
সাজেক বিলাস রিসোর্টের মালিক জ্ঞান জ্যোতি চাকমা বলেন, সপ্তাহ ধরে সাজেকে ভ্যালিতে পর্যটকের চাপ যাচ্ছে। বলতে গেলে সাজেকে কোন রিসোর্ট ও কটেজ খালি নেই। এভাবে পর্যটকের স্রোত অব্যাহত থাকলে মহামারি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার অন্তগত হলেও জেলা সদরের সাথে এখনো প্রায় বিছিন্ন। সাজেকেবাসীকে নিজ জেলা সদর রাঙ্গামাটি যেতে হলে প্রায় ১শ ৪০ কিলোমিটার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার উপর দিয়ে যেতে হবে। আর খাগড়াছড়ির সাথে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এ কারণে খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন স্পার্টগলোও হাজারোও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সাজেক আপনাকেও হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।