parbattanews

হাটহাজারী সাব স্টেশানের গাফিলতি, রামগড় বিদ্যুৎবিহীন ছিল ১৬ ঘন্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামের হাটহাজারী সাব স্টেশানের গাফিলতির কারণে। দীর্ঘ ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচ- গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী হতে নাজিরহাট অংশের লাইন মেরামতের অজুহাতে শনিবার সকাল ৮টার দিকে রামগড়ের ৩৩ কেভি সরবরাহ লাইনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দেয়া হয়। একটানা দীর্ঘ ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত ১২টার দিকে লাইন চালু করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার দরুণ চরম দুর্ভোগের শিকার হয় উপজেলাবাসী।

রামগড় বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ফটিকছড়ির নাজিরহাট অংশের ১৫ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনের তার পরিবর্তনের কাজের জন্য হাটহাজারী সাব স্টেশান হতে বিদ্যুৎ সঞ্চলন বন্ধ করে দেয়া হয়। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে লাইনটি চালু করা হলেও ক্রুটির কারণে আবার বিদ্যুৎ সঞ্চলন ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। এ ক্রুটির স্থান খোঁজার জন্য রামগড় হতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সরবরাহ লাইনে অনুসন্ধানের পর ফটিকছড়ির বারিরহাট নামক স্থানে ক্রুটি ধরা পড়ে। রাত ১২টার দিকে ক্রুটি সারানোর কাজ শেষ করে লাইনটি চালু করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারী হতে রামগড় সাব স্টেশান পর্যন্ত ৩৩ কেভি সঞ্চলন লাইনটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। তন্মধ্যে ফটিকছড়ির নারায়ণহাট পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার লাইনের মেরামতসহ যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রামগড় সাব স্টেশানের এবং নারায়ণহাট হতে হাটহাজারী পর্যন্ত কাজ করার কথা হাটহাজারী সাব স্টেশনের।

সূত্রটি জানায়, শনিবার হাটহাজারী সাব স্টেশানের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ফটিকছড়ির বারিরহাট নামক স্থানে লাইনে ক্রুটি সৃষ্টি হলেও ঐ সাব স্টেশানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মেরামতের কাজ করেনি। রামগড় সাব স্টেশনের সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মচারীরা প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরবর্তী বারিরহাটে গিয়ে ক্রুটিপূর্ণ লাইনের মেরামতের কাজ করতে হয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, ক্রুটিপূর্ণ স্থানটি হাটহাজারী হতে মাত্র প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে হলেও ঐ সাব স্টেশানের দায়িত্বে নিয়োজিতরা লাইনটি মেরামতের কাজ না করায় রামগড়ের বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ গ্রাহক চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মো. আলা উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে মুঠো ফোনে তিনি বলেন, ‘পাবলিক রিলেশন অফিসার ছাড়া সাংবাদিকের সাথে আমাদের কারও কথা বলার এখতিয়ার নেই।’

Exit mobile version