রাঙ্গামাটিতে বিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় কনে‘সহ আহত -৮

fec-image

রাঙ্গামাটির রিজার্ভবাজার শরিয়তপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জনৈক আবুল কালামের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

শনিবার(১৩ জুন) রাতে আবুল কালাম ও তার পরিবার তাদের মেয়ের বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজন ও আলাপচারিতা চলার সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৮/১০ জনের একটি গ্রুপ হামলা করে বলে জানান আহত আবুল কালাম(৬৫)।

এ হামলায় বিয়ের কনেসহ তাদের পরিবারের লোকজন‘সহ ৮জন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

আহতদের শনিবার রাতেই রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় চিকিৎসাধীন আহত ষাটোর্দ্ধ আবুল কালাম ও তার স্ত্রী রিনা বেগম জানান, শনিবার রাতে তাদের মেয়ের গায়ে হলুদের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাসায় আয়োজন চলছিলো।

এসময় একই এলাকার মমিন ও জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিয়ে তাদের বাসায় হামলা করে এবং অতর্কিতভাবে কোপাতে থাকে। এসময় বাসার মেয়ের বিয়ের জন্য থাকা স্বর্ণালংকার থেকে শুরু করে টাকা-পয়সা যা কিছু ছিলো সব কিছুই লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন রিনা বেগম।

হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আবুল কালামের পরিবার।

তবে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত কয়েকজন এ হামলার ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রনেতাকে দায়ী করেছে। হামলার সময় যারা সামনে ছিলো তাদের আইনের আওতায় আনা হলে ঘটনার সাথে কারার জড়িত তা বের হয়ে আসবে বলে জানান তারা।

এ হামলার ঘটনায় ৬ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন আবুল কালাম(৬৫), রিনা বেগম (৪৫), জিন্নাত কাউছার(১৯), আজাদ (৩৫), রাকিব (২০), তারেক হোসেন সাঈফ(২৭), ওমর ফারুক (৩২) ও হাসান (২৫)।

আহতদের কয়েকজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে রিজার্ভবাজার শরিয়তপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি শফি সওদাগর জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে বসতে আমরা সকলেই সেখানে যাচ্ছিলাম। কিন্তু যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

হামলার ঘটনায় রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, শরিয়তপুর এলাকায় হামলার ঘটনা শোনার সাথে সাথেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন