parbattanews

হামাগুড়ি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা

চলমান কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গিয়েছে নারানগিরিমুখ বাঁশের সাঁকোটি। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীরা হামাগুড়ি দিয়ে পার হচ্ছে এ ভাঙ্গা সাঁকোটি। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নারানগিরিমুখে সাঁকোটি অবস্থিত। এটি দিয়ে প্রতিদিন এলাকার হাজারো মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। যার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যয় পড়ছে ওই পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মত বিকল্প কোন পথ নেই।

কয়েকদিনের ভাড়ী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের ফলে বাঁশের সাঁকোর মাঝখানে অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের জনগণ এ সাঁকো দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরেছে বিপাকে।

এদিকে ইতপূর্বে বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশা চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন করেছিল। যার ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু কেন এখনো ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছেনা, এতে হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, সম্প্রতি নতুন ব্রীজটির নির্মাণের কাজ রাঙামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুনের পরে এ ব্রীজের টেন্ডার কাজ শুরু হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি

২ নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এ বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া অনেক জরুরি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কাপ্তাই এলজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সেতু নির্মাণের কাজটি পিছিয়ে পরার ফলে এখনো অনুমোদন হয়নি। আবারো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি

Exit mobile version