parbattanews

হুমকি-ধমকি আর ভয় দেখিয়ে পাহাড়ে চাঁদাবাজির দিন শেষ: কংজরী চৌধুরী


নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

শান্তিপ্রিয় জনতা ক্ষেপে গেলে চাঁদাবাজরা পালাবারও পথ পাবে না মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, হুমকি-ধমকি আর ভয় দেখিয়ে পাহাড়ে চাঁদাবাজির দিন শেষ। পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা পাহাড়ের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতই বন্ধ করেননি, পাহাড়ের প্রতিটি জনপদের উন্নয়নও নিশ্চিত করেছেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন- এমন মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, এ মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ আলী, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. জাকির হোসেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী ও মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. আনোয়ারুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন।

বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, পাহাড়ের শান্তি দেখে আজ তারা নির্বাক। সরকারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, তারা জেগে জেগে ঘুমান বলেই সরকারের উন্নয়ন দেখছে না। আর যারা দেখছে তারা লজ্জায় বলতে পারছেন না। আন্দোলনের ইস্যু হারিয়ে বিএনপির রাজনীতি এখন গৃহবন্দি উল্লেখ করে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের জনগনের কাতারে এসে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

উন্নয়ন মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত ক্যুইজ, রচনা, চিত্রাঙ্গন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। এরপরপরই মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন।

সবশেষে উন্নয়ন মেলা মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করে  চট্টগ্রাম থেকে আসা জনপ্রিয় শীল্পিরা।

Exit mobile version