parbattanews

হেফাজত পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৩, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর

ডেস্ক নিউজ

পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এ পর্যন্ত এতে নিহত হয়েছে ৩ জন ও আহত শতাধিক।

সন্ধ্যার পরও পল্টন-গুলিস্তান এলাকায় সংঘর্ষ চলতে দেখা যায়। এছাড়া বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, নয়াপল্টন, দৈনিক বাংলা এলাকায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৬৭টি গাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনায় আগুন দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। রাত সোয়া ১০টায় বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

এদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হেফাজতের এক কর্মীর লাশ সমাবেশে নিয়ে আসা হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত একজন সিদ্দিকুর রহমান (২৮)। তিনি হানিফ পরিবহণের হেলপার বলে জানা গেছে। অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, হেফাজতের কর্মীরা লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যেতে চায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিক থেকেও লাঠি নিয়ে কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের দিকে আসতে চাইলে দুই পক্ষকে বাধা দেয়া হয়। এতে হেফাজতের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পুলিশ পল্টন মোড়ে অবস্থান করছে। তবে ওই এলাকায় হেফাজত কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ায় পুলিশ পিছু হটছে। হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেটে সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রাখা দুটি মোটর সাইকেলে পুড়িয়ে দিয়েছে। 

সন্ধ্যায় সরেজমিন দেখা গেছে, পল্টনের হাউস বিল্ডিং করপোরেশনের পার্কিংয়ে রাখা ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। স্টেডিয়াম এলাকায় আরো ২০/২৫টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এসব জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যেতে পারেনি। সন্ধ্যার পর মালিবাগ রেলগেট ৬/৭টি গাড়িতে আগুন দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও গুলিস্তান, বাবুবাজার নয়াপল্টন, কাকরাইল, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক মোড়, তেজগাঁও বিজি প্রেসের সামনে ও প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় আরো অন্তত ২৭টির বেশি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে আগুন দেয়া হয়। এসব এলাকায় এখনও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। সন্ধ্যায় বাবুবাজার ব্রিজের টোলঘরেও আগুন দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version